Advertisement
Advertisement

টিটাগড়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু, এলাকায় উত্তেজনা

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার ২।

Barakpore: TMC leader died by shootout

তৃণমূল নেতা খুনে এলাকায় উত্তেজনা, চলছে পুলিশি টহল।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 30, 2018 8:53 am
  • Updated:October 30, 2018 9:34 am  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: টিটাগড়ে তৃণমূলের গুলিবিদ্ধ নেতা সতীশ মিশ্রের মৃত্যু হল। সোমবার গভীর রাতে গুলিতে জখম অবস্থায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই তৃণমূল নেতাকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে গুরুতর জখম তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলছে পুলিশি টহল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, টিটাগড় পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূল যুব নেতা মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লাগে স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি সতীশ মিশ্রর বুকের ডানদিকে। সোমবার বেলা বারোটা পনেরো নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে টিটাগড় থানার ২১ নং ওয়ার্ডের বিটি রোড সংলগ্ন মুচিপাড়া এলাকায়। গুলিতে গুরুতর জখম সতীশবাবুকে সংকটজনক অবস্থায় ব্যারাকপুর বিএন বোস হাসপাতাল থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ যুবক টিটাগড় ওয়াগন কারখানার কর্মী। এদিকে ঘটনার পর তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় টিটাগড়ের বিটি রোড সংলগ্ন মুচিপাড়া এলাকায়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মূল অভিযুক্ত ভোলা প্রসাদ সর্দারের বাড়ি, স্থানীয় একটি ক্লাব ও বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক, টিটাগড় থানার পুলিশ-সহ র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানরা।

Advertisement

[যৌনকর্মীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ কর্মসূচি বর্ধমানে]

তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী ভোলা প্রসাদ সর্দার এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ভোলা ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ওদের মূল লক্ষ্য ছিল মণীশ। তবে প্রথম গুলিটা ‘মিস ফায়ার’ হয়। দ্বিতীয় গুলিটা সতীশের বুকে এসে লাগে। সতীশ দলের বহু পুরনো কর্মী। দলের দুর্দিনের যখন বুথে বসার এজেন্ট পেতাম না, তখনও বুথে সতীশ বসত।’ ভোলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কালী পুজোর প্যান্ডেলের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। আচমকা কয়েকজন এসে গুলি চালায়। সতীশবাবুর বুকে গুলি লাগে। এলাকায় ওঁর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই সবাই বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলকর্মীরা। রাজনৈতিক কারণেই সতীশ মিশ্রকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ কাউন্সিলর মণীশ শুক্লার। এদিকে বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সম্পাদক ফাল্গুনী পাত্রের অভিযোগ, তৃণমূলের অন্তর্কলহের জেরেই এই ঘটনা। তাঁর কথায়, মূল অভিযুক্ত ভোলা একজন দুষ্কৃতী। বিজেপির সঙ্গে এই দুষ্কৃতীর কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল এখন সব ক্ষেত্রেই বিজেপির ভূত দেখছে। তাই অন্যায়ভাবে ওরা পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। যদিও কী কারণে দুষ্কৃতীরা এই গুলি চালাল,  তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক অনুমান,  এলাকায় দখলদারি নিতেই এই হামলার ঘটনা।

[‘খিদে পেয়েছে’, প্ল্যাটফর্মে ছবি এঁকে কাতর আবেদন ভবঘুরে শিল্পীর]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement