টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভিন গোত্রের ছেলের সঙ্গে প্রেম। অশান্তি চলছিল মেয়ের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে মাথা মুড়িয়ে প্রেমিককে বেধড়ক মারধর করলেন মেয়ের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে। শেষ পর্যন্ত, আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে তাঁর। মধ্যযুগীয় বর্বরতা বাঁকুড়া মেজিয়ায়।
[রেহাই নেই গরুরও, ধর্ষণ করে অবলা প্রাণীকে হত্যা যুবকের]
আক্রান্ত যুবকের নাম কেশব মুখোপাধ্যায়। বাড়ি মেজিয়ার পায়লাশোল গ্রামে। মেজিয়া-ছাতনা রুটে ট্রেকার চালান কেশব। যাত্রীবোঝাই ট্রেকার নিয়ে সরাগডিহি গ্রামের উপর তাঁর নিত্য যাতায়াত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে সরাগডিহি গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কেশবের। কিন্তু, সেই সম্পর্কে মেনে নেননি ওই যুবতীর বাড়ির লোকেরা। এমনকী, কেশবের সঙ্গে মেলামেশা আটকাতে ওই যুবতীর পড়াশোনা পর্যন্ত বাড়ির লোকেরা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শত চেষ্টা করেও প্রেমিক-প্রেমিকাকে আলাদা করা যায়নি। লুকিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা করতেন কেশব। কিন্তু, আচমকাই গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে বাড়ির অমতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে ফেলেছেন ওই যুগল। সেকারণে মেয়ের বাড়ির লোক ও সরাগডিহি গ্রামের বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়লেন ট্রেকার চালক কেশব মুখোপাধ্যায়।
রোজকার মতোই বৃহস্পতিবার সকালেও ট্রেকার নিয়ে সরাগডিহি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন কেশব। তাঁর উপর চড়াও হন ওই যুবতীর বাড়ির লোক ও গ্রামবাসীরা। ট্রেকার থেকে নামিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। এরপর মাথায় মুড়িয়ে, জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয় ওই ট্রেকার চালককে। কোনওভাবে খবর পৌঁছে যায় মেজিয়া থানায়। পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে। এখন মেজিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন কেশব। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন কেশব মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা। আক্রান্ত যুবকের বাবার দাবি, ঘটনার পর মেজিয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, অভিযোগ নেওয়া তো দুর অস্ত, উলটে তাঁকেই হেনস্তা করেছে পুলিশ।
[ত্রিকোণ প্রেমের জের, প্রাক্তন প্রেমিকের বান্ধবীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ যুবতীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.