Advertisement
Advertisement

Breaking News

হোয়াটসঅ্যাপেই রমরমিয়ে মধুচক্রের কারবার চলছে বাঁকুড়ায়

উৎসবের মরশুমে টার্গেট পর্যটকরা।

Bankura; Sex trade going on in full swing in various tourist spot

ছবি - প্রতীকী

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 25, 2018 9:42 pm
  • Updated:October 25, 2018 9:47 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: অবিক্রিত ফ্ল্যাট, ভাড়া বাড়ির আড়ালে বাঁকুড়া জুড়ে চলছে মধুচক্র। পুজোর মরশুমে বিভিন্ন জেলার নামকরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে ফুলেফেঁপে উঠছে এই চক্রগুলি। গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক মধুচক্রের আসর থেকে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরের একাধিক যুগলকে আটক করেছে পুলিশ। এমনকী পর্যটনকেন্দ্র বিষ্ণুপুর শহরের বেশ কয়েকটি হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফোনের মাধ্যমেই চলছে এই অপরাধের সাম্রাজ্য।। এক ফোনেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছে ‘সানি’, ‘ক্যাটরিনা’ কিংবা ‘প্রিয়াঙ্কা’রা!

[ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী, হাসপাতালে তাণ্ডব মদ্যপ যুবকের]

Advertisement

কীভাবে চলে এই মধুচক্রের কারবার? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া শহরের মেডিক্যাল কলেজ আর বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে রমরমিয়ে চলছে এই মধুচক্রের কারবার। এই দেহ ব্যবসায়ী চক্রের পান্ডাদের অঙ্গুলিহেলনেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন একাধিক লজে, নির্জন শুশুনিয়া পাহাড়, বিহারীনাথ পাহাড় এবং মুকুটমণিপুর আর সবুজ অরণ্যেঘেরা ঝিলিমিলি, জয়পুর এবং মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের আনাচে কানাচে রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসার কারবার। জানা গিয়েছে, পর্যটকেরা হোটেলে সঙ্গী জোগাড় করে দেওয়ার কথা বললে ফোন মারফৎ যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় দেহ ব্যবসায়ী চক্রের পান্ডাদের সঙ্গে। তারাই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবি পাঠিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে কত টাকা খরচ পড়বে তাও বলে দেওয়া হয়। সঙ্গে যুক্ত হয় হোটেলের কমিশনও। পছন্দসই মহিলাদের হোটেলের রুম নম্বর বলে দিলেই পৌঁছে যান তাঁরা। মরশুম অনুযায়ী এই দর বদলে যায়। পার্টি বা ক্লাইন্ট অনুযায়ীও বদলে যায় দর। আবার সব সময় যে রাত ফুরালেই যে বাত ফুরোয় তা কিন্তু নয়। টাকা খরচ করে এখন থেকেই উৎসবের দিনগুলির জন্য সঙ্গী হন সানি, ক্যাটরিনা কিংবা প্রিয়াঙ্কা।

মাস কয়েক আগে বাঁকুড়া আর বেলিয়াতোড় থানা এলাকার সীমানা বরাবর এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেআইনি ঝুপড়ি তৈরি করে দেহ ব্যবসার রমরমা কারবার শুরু হয়েছিল প্রকাশ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার প্রথমশ্রেণির কয়েকজন তৃণমূল নেতা আর তৎকালীন এক পুলিশ অফিসারের মদতে আসানসোল থেকে রাতের অন্ধকারে যুবতীদের এনে বেলিয়াতোড় এবং বাঁকুড়া সদর থানার সীমানা এলাকায় রাতভর প্রকাশ্যেই চলতে এই কারবার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এই ঝুপড়িগুলি ভেঙেছে। কিন্তু পুলিশের নজর এড়িয়ে চলছে কারবার। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকোমল দাস জানিয়েছেন, “আমরা কড়া নজর রেখেছি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হোটেল আর লজে হানা দিয়েছে একাধিক যুগলকে ধরেছি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া।” এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওকে ফোন করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি ফোনে।

[ মেয়ের বিয়েতে ভাংচি, পুরুলিয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement