টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভ্যালেন্টাইনস ডের এখনও ঢের দেরি। রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু, লাল গোলাপ হাতে ভোটারদের দরজায় হাজির প্রার্থী! প্রথমে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন বাঁকুড়ার সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর গ্রামের বাসিন্দারা। সত্যি কথা বলতে, প্রেমের প্রতীক লাল গোলাপই যে তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হবে, তা ভাবতে পারেননি সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী ফটিক ডুমুরিয়াও। কিন্তু কী আর করবেন! নিয়ম মেনে কমিশনের দেওয়া প্রতীক নিয়েই ভোটের প্রচার সারলেন তিনি।
[দুই বিধায়কের পত্নীর সভাপতিত্বে এবার হাওড়ার দুই পঞ্চায়েত সমিতি]
নির্বাচনী প্রতীকটি অভিনব বটে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে প্রার্থী অবশ্য আনকোরা নন। ২০১৩ সালে, গত পঞ্চায়েত ভোটে সিমলাপাল থেকে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন ফটিক ডুমুরিয়া। সেবার প্রতীক ছিল কম্পিউটার। তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ পাণ্ডার কাছে অবশ্য হেরে যান। তাই এবার আর জেলা পরিষদ নয়, সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন ফটিকবাবু। তাঁর দাবি, ‘১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলটা করে আসছি। কিন্তু বারবার দলীয় নেতৃত্বের বঞ্চনার শিকার হয়েছি। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি।’ ফটিক ডুমুরিয়া জানিয়েছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে লক্ষ্মীসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটেই জিতেও ছিলেন।
[ভোটের আগে বিস্ফোরণ কাঁকসায়, অভিযোগ ঘিরে বিজেপি তৃণমূলে চাপানউতোর]
কী বলছে শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব? সিমলাপালের ব্লক সভাপতি সনৎ দাস জানিয়েছেন, ‘দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে যেসব নির্দল প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, ভোট মিটলেই তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ কিন্তু বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল প্রার্থী হলেও, ভোটে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছেন সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী ফটিক ডুমুরিয়া।
[সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদা থান রজনীগন্ধার মালা, চাঞ্চল্য বনগাঁয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.