টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র। বাঁকুড়ার তালড্যাংরার এই সিপিএম নেতাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় মনোরঞ্জনবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে।
[বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভাইফোঁটায় শামিল যৌনকর্মীরাও]
গত ১৩ সেপ্টেম্বর তালড্যাংরার আমড্যাংরা এলাকায় খুন হন জান মহম্মদ মল্লিক। এই ঘটনায় মনোরঞ্জন পাত্র-সহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার রাতে আমড্যাংরা বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন তাঁকে পেশ করা হয় খাতড়া মহকুমা আদালতে। এই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে ১৪৩, ৩৪১ এবং ৩২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মনোরঞ্জন পাত্রকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মনোরঞ্জনবাবু তালড্যাংরার দাপুটে নেতা। তিনি ওই এলাকার চারবারের বিধায়ক, পাশাপাশি সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। দলীয় নেতা গ্রেপ্তারের ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ জেলার সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছিলেন ২৮ বছরের জান মহম্মদ। সিপিএমের দাবি, মৃতের আত্মীয়রা এই ঘটনায় বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যর দিকে আঙুল তুলেছিল। তারপরও স্রেফ রাজনৈতিক কারণে মনোরঞ্জনবাবুর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
[দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের আড়াল করতে ‘রক্ষাকবচ’ রাজস্থান সরকারের]
তবে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনায় অবশ্য প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। ঘনিষ্ঠ মহলে তারা জানিয়েছে, পুলিশ নিজের কাজ করেছে। এই ব্যাপারে তাদের কিছু বলার নেই। গত বছরের একুশে জুলাই বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ এই ঘটনার পর থেকে তুষারবাবুর অনুগামীদের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের। এই নিয়ে দুই নেতাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.