টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সাংসদ বা বিধায়করাও জনপ্রতিনিধি। কিন্তু, তাঁরা অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যায় কাউন্সিলরের কাছেই ছুটে যান সাধারণ মানুষ। ব্যক্তিক্রম নন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শহরের বাসিন্দারাও। শহরের রাস্তায় এক অসুস্থ বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরকেই খবর দিয়েছিলেন তাঁরা। মুখ ফিরিয়ে নেননি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৃদ্ধকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। কাউন্সিলরের মানবিক ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
[খেতে না দিয়ে মারধর করে ছেলে, স্বেচ্ছামৃত্যু চান মা]
ঘটনাটি ঠিক কী? বৃহস্পতিবার রাতে বিষ্ণুপুর শহরের চাঁদনি এলাকায় এক বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ষষ্ঠী দে। ওই বৃদ্ধকে রীতিমতো অসুস্থ ছিলেন। রক্তবমি করছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই বৃদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দা নন। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ওই বৃদ্ধের নাম বাবলু মল্লিক। তবে বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি তিনি। বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর বাড়ি চলে যান ষষ্ঠী দে। রাতের দিকে ওই বৃদ্ধকে একই অবস্থা রাস্তার পড়ে থাকতে দেখেন এক রিকশচালক। তিনিই বিষ্ণুপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে খবর দেন। খবর পেয়ে রাতেই চাঁদনি এলাকায় আসেন কাউন্সিলর। স্থানীয় যুবককে ওই বৃদ্ধকে দেখভাল করার নির্দেশ দেন তিনি। কাউন্সিলর বলে যান, ওই বৃদ্ধ যদি নিজের বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন, তাহলে সকালে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি। রাতভর ওই বৃদ্ধের উপর নজর রেখেছিলেন স্থানীয় যুবকরা।
[ব্যর্থ চিকিৎসকরা, বাঁচানো গেল না জলপাইগুড়ির বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকে]
শুক্রবার সকালে ফের ঘটনাস্থলে যান কাউন্সিলর। কিন্তু, বাড়ির ঠিকানা বলা তো দূর অস্ত, ততক্ষণে ওই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রলিতে চাপিয়ে ওই বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে যান তিনি। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। থানা থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। কাউন্সিলরের উদ্যোগে হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই বৃদ্ধকে। হাসপাতালে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। খবর পাওয়া মাত্রই সক্রিয় হয়েছেন কাউন্সিলর। নিজে উদ্যোগে নিয়ে রাস্তা থেকে তুলে অসুস্থ বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেছেন। জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
[মাছ চাষেই ১৫০ বিঘা জমিতে সোনা ফলাচ্ছেন আরতি, সেরার স্বীকৃতি কেন্দ্রের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.