ছবিতে ৪৫ কেজির মণ্ডা, ছবি: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়।
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ৪৫ কেজির মণ্ডা দিয়ে গণপতির আরাধনা মন্দির শহর বাঁকুড়ায়। শহরের চাঁদমারি ডাঙায় ধুমধাম করে গণেশ বন্দনায় মেতেছেন বাসিন্দারা। এখানে নিয়মিত সিদ্ধিদাতার পুজো হয়। তাই আলাদা করে মন্দির বা মূর্তির তৈরি খরচ নেই। কিন্তু আহামরি সাজসজ্জা না থাক, আয়োজনে কোনও ঘাটতি নেই।
পুজোর উদ্যোক্তা নাড়ুগোপাল সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে গণেশের নিত্য আরাধনা চলছে চাঁদমারিতে। শুধু সিদ্ধিদাতাই নন, এই মন্দিরে পূজিত হন শিব ও হনুমানও। প্রথমে হনুমানকে অধিষ্ঠিত করেই শুরু হয় পূজাপাঠ। তারপর শুরু হয় শিব ও গণেশের পুজো। তবে গণেশ চতুর্থীতে পুজোর ধূমধাম বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই সমস্ত আয়োজন করেন। দুদিন ধরে চলে গণেশপুজো। বারোয়ারি পুজো বাড়ির পুজোর রূপ নেয়। সিদ্ধিদাতার আরাধনায় প্রসাদের তালিকাও লক্ষ্যণীয়। লাড্ডু, ফল, মিষ্টিই শুধু নয়, এবার পেল্লায় সাইজের মণ্ডাও সিদ্ধিদাতাকে নিবেদন করেছেন ভক্তেরা। মণ্ডার ওজন ৪৫ কেজি। স্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতাকে রীতিমতো বরাত দিয়ে আনানো হয়েছে প্রমাণ সাইজের এই মণ্ডা। কাজু, চেরিফল সঙ্গে পেস্তায় শোভিত মণ্ডা শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, লোভনীয়ও বটে। সেই সঙ্গে ২০০ প্যাকেট লাড্ডুর বরাতও দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। হইহই করে চলছে আয়োজন। নতুন পোশাক পেয়েছেন মন্দিরের পুরোহিতও।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগে গণেশ চতুর্থী এলে মন খারাপ হয়ে যেত। ইচ্ছে থাকলেও দূরে গিয়ে গণপতি বন্দনায় শামিল হওয়া সম্ভব হত না। তাই তিন বছর আগে শুরু হওয়া পুজোতে খুশি প্রত্যেকে। বাঁকুড়ার শহরের চাঁদমারি এলাকার এই মন্দিরে নিত্যপুজো পান গণপতি। গণেশ চতুর্থীতে আয়োজনের ধুম লেগে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.