টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সরাসরি পোলট্রি থেকে কম দামে ডিম কিনে গর্ভবতী মা ও শিশুকে সপ্তাহে ছ’দিন ডিম খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন৷ চড়া দামে খোলা বাজার থেকে ডিম সংগ্রহ করার জন্য এতদিন সপ্তাহে ছ’দিন অর্ধেক ডিম খাওয়ানো হত প্রসূতি ও শিশুদের৷
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এস জানিয়েছেন, জেলায় অপুষ্টি নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রসূতি ও শিশুদের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ স্থানীয় পোলট্রিগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের চুক্তি হওয়ায় এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি কম দামে ডিম সংগ্রহ করতে পারবে৷ ফলে, চাহিদা অনুযায়ী মাথাপিছু প্রসূতি ও শিশুকে গোটা ডিম খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যাবে৷ নয়া এই উদ্যোগের জেরে উপকৃত হবেন বাঁকুড়া পুরসভার ৯৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হাজার দু’য়েক প্রসূতি ও শিশু৷
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু পিছু ২২.৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ মাত্র সাড়ে ২২ টাকায় ভাত-ডাল-সবজি ও ডিমের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ দ্রব্যমূল্যের বাজারে সাড়ে ২২ টাকা বরাদ্দ অত্যন্ত কম৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সপ্তাহে ছ’দিন গর্ভবতী মা ও শিশুকে এতদিন অর্ধেক ডিম দেওয়া হত৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়েও বারংবার একাধিক অভিযোগও জমছিল৷
[গাড়ি থেকে ভারতের পতাকা খুলল ভুটান পুলিশ, উত্তেজনা জয়গাঁওয়ে]
বৃহস্পতিবার আচমকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান জেলাশাসক৷ বাঁকুড়া শহরের রামপুরের তারাশংকর প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখেন তিনি৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মূল সমস্যাগুলি গুরুত্ব দিয়ে শোনেন৷ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন জেলাশাসক৷ ঘোষণা করেন, পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে স্থানীয় পোলট্রিগুলির সঙ্গে চুক্তি করে কম দামে ডিম কেনার বিষয়ে উদ্যোগ নেন৷ ঘোষণা করেন, এবার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি স্থানীয় পোলট্রি ফার্মগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে কম দামে ডিম সংগ্রহ করবে৷ ফলে, কম দামে ডিম কেনা হলে জেলার প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রসূতি ও শিশুকে সপ্তাহে ছ’দিন ডিম খাওয়ানো যাবে বলে জানান জেলাশাসক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.