ছবি: প্রতীকী।
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে এবার উদ্যোগ নিল রাজ্য। এখন থেকে ঘটনার ৪৫ মিনিট আগেই বজ্রপাতের ব্যাপারে সতর্কতামূলক এসএমএস পাঠাবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভার আধিকারিক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মোবাইলে পৌঁছে যাবে এসএমএস বার্তা। এজন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন জেলায় মোবাইল নম্বরের ‘ডেটা বেস’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘ডেটা বেস’ তৈরির জন্য মোবাইল নম্বর পেতে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘হাজারো কোম্পানির অধীনে একাধিক মোবাইল নম্বর। অনেক ফোন নম্বরে নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না। হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’ জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এসএমএস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম আভাস রাজ্য থেকে জেলা হয়ে ব্লক অফিসে পাঠানো হত। এখন বজ্রাপাতের পূর্বাভাস নবান্ন থেকে সরাসরি নির্দিষ্ট এলাকায় পৌছে দেওয়া হবে।’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জেলাওয়ারি যে সতর্কবার্তা রাজ্য প্রশাসনকে পাঠায়, সেগুলিই বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যা, ঝড়বৃষ্টি প্রভৃতির ফলে প্রতি বছর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতের কারণে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতেই উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এতদিন বজ্রাপাতের আগাম আভাস সরকারিভাবে পাওয়া যেত না। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় বজ্রপাতে মৃত্যুতে লাগাম টানতে চাইছেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। তাই গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা ও সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের যুগ্মসচিবের তরফে প্রত্যেক জেলাশাসক ও কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে পৌঁছেছে চিঠি। সেই চিঠিতেই এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। যেখানে বজ্রপাত নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন ওই দপ্তরের আধিকারিক। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মোবাইল নম্বর চেয়ে নেওয়া হয়েছে। যা একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে অনলাইনে দেওয়া হবে। এখন সেই জনপ্রতিনিধি ও নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের মোবাইল নম্বর পেতে হিমশিম খাচ্ছেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্মীরা। তবে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁদের কথায়, একাধিক নেটওয়ার্কের অধীনে বিবিধ নম্বর হওয়াতেই এই বিপত্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.