Advertisement
Advertisement

Breaking News

৩ আদিবাসী মহিলা আত্মঘাতী, নেপথ্যে কি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক?

অভিযোগ, রাতভর মদ্যপান করেন তিন মহিলা ও তাঁদের পুরুষসঙ্গীরা।

Bankura: 3 tribal Woman of a family commit suicide
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 2, 2017 7:44 am
  • Updated:October 2, 2017 7:44 am  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: উৎসবে ছন্দপতন। বাঁকুড়ার রাইপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিন আদিবাসী মহিলা। পুলিশের বক্তব্য পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা।

[পরকীয়া জেনে ফেলায় প্রেমিকের সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন স্বামীকে]

Advertisement

মৃতদের নাম মামণি হাঁসদা (৩৮), সুমিত্রা মান্ডি (৩০) এবং শালমণি টুডু (২৫)। এদের মধ্যে শালমণি অবিবাহিতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মামণির স্বামী বাইরে কাজ করেন। বাড়ি ফাঁকা থাকার কারণে দশমীর দিন ওই বধূ ঘরে ডাকেন ভাসুরের মেয়ে শালমণি ও ননদের মেয়ে সুমিত্রাকে। তিন মহিলার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন পুরুষও। প্রতিবেশীদের অভিযোগ রাতভর মদ্যপান করেন তিন মহিলা ও তাঁদের সঙ্গীরা। সকালে মামণির ঘর থেকে কয়েকজন যুবককে মত্ত অবস্থায় বের হতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই প্রতিবেশী এবং বাড়ির লোকজনের তোপের মুখে পড়েন মামণিরা। কেন বাইরের লোকেদের সঙ্গে রাতভর ফূর্তি এবং মদ্যপান চলেছিল, এমন প্রশ্নের মুখে অস্বস্তি পড়েন তিন মহিলা। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবকরা পাশের গ্রামে থাকেন। মামণিদের বাড়িতে তাদের মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া ছিল। উৎসবের সময় পর পুরুষের সঙ্গে বাড়ির তিন মহিলার আচরণ মানতে পারেননি অনেকেই। এই নিয়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে নানা বাঁকা কথা শুনতে হয় মামণিদের। এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান, লোকলজ্জার ভয়ে তিন মহিলা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য তারা ধুতরা ফুলের বীজ খান। বিষাক্ত এই বীজ খাওয়ার পরই তিনজন লুটিয়ে পড়েন। রাইপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

[পুজোর জলসায় ব্লেড হামলা, জখম ২]

তিন আদিবাসী মহিলার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। তাঁর বক্তব্য পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনজন বিষাক্ত ফলের দানা খান। তারপরই তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছবি: সাধন মণ্ডল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement