টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: একজন নবম শ্রেণিতে পড়ে৷ অপরজন দ্বাদশ শ্রেণির গণ্ডি ছুঁয়েছে৷ বয়সের হিসাবেও নাবালক দুজনেই৷ বড়সড় অপরাধে আপাতত শ্রীঘরই ঠিকানা বাঁকুড়ার বি জে হাইস্কুলের দুই পড়ুয়ার৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা শুনে তাজ্জব সকলেই৷
ধুলাই আর কে এম এস হাইস্কুলের শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে টিউশন পড়তে যেত ওই দুই ছাত্র৷ শিক্ষকের অভিযোগ, সবার চোখের আড়ালে বিপুল বিশ্বাসের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগায় দুজনে৷ শিক্ষকের স্ত্রীর স্নানের দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকাও দাবি করে গুণধররা৷ শিক্ষকের আরও অভিযোগ, মাঠের মধ্যে শূন্যে গুলি চালায় ওই দুই ছাত্র৷ দৃশ্যের ভিডিও করে গুণধরেরা৷ ওই ভিডিওয় মেমোরি কার্ডবন্দি করে দেশলাই বাক্সে ভরে তারা শিক্ষকের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়৷
শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে৷ পুলিশসূত্রে খবর, সোনামুখী পুরসভার নয় ও দশ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুজনে৷ একজনের বাবা মুরগি বিক্রেতা ও অপর ছাত্রের বাবা আলুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ ধৃত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রটি যথেষ্ট মেধাবী৷ মাধ্যমিকে ৪৬৫ নম্বর পেয়েছিল সে৷ ইতিমধ্যেই ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেছে পুলিশ৷ ধৃতেরা জানিয়েছে, বাড়ি থেকে চুরি করা টাকায় বন্দুক কেনে তারা৷ সোনামুখী পুরসভার এক কাউন্সিলরের ভাইপোর মারফত বিহারের মুঙ্গের থেকে বন্দুক কেনে বলেও জানায় তারা৷ ধৃতদের জেরা করে আরও দুই কলেজ ছাত্রের নামও উঠে আসছে৷ কাউন্সিলরের ভাইপো, দুর্গাপুরের বেসরকারি কলেজের এক ছাত্র-সহ মোট তিন জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷
তবে কী কারণে গৃহশিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে টার্গেট করল দুজনে, তা এখনও জানতে পারেনি সোনামুখী থানার পুলিশ৷ বাড়ির বাথরুমে গোপন ক্যামেরা কেনই বা লাগাল তারা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ নিছকই হুমকি দিতে বন্দুক কিনেছিল ছাত্রেরা নাকি অন্য কোনও পরিকল্পনা ছিল তাদের, জেরা করে সে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.