টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভরা বর্ষায় শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে দামোদর নদে তলিয়ে গেল দুই কিশোর। একজনের দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরাই। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর আর একজনের দেহ খুঁজে পান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। শোকের ছায়া বাঁকুড়ার সোনামুখীতে।
[ গোল বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত তরুণ ফুটবলার]
কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের সোমবার জন্মেছিলেন স্বয়ং শিব। ভরা বর্ষায় তাই ভোলেবাবার মাথায় জল ঢালেন ভক্তেরা। এদিন ছিল আবার শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। তাই ভক্তদের উৎসাহও ছিল আরও বেশি। বিপদে তোয়াক্কা না করেই সোনামুখীর রাঙামাটি এলাকায় খরস্রোতা দামোদর নদ থেকে জল আনতে গিয়েছিল দুই কিশোর। তখনই প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায় দু’জনই। একজনের দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরাই। কিন্তু, আর একজনের খোঁজ মিলছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরের দেহও। ঘটনার শোকের ছায়া বাঁকুড়ার সোনামুখীর রাঙামাটিতে। মৃত দুই কিশোরের নাম মানু কর্মকার ও বিদ্যুৎ ঘোষ। তাদের বাড়ি রাঙামাটির শিরোমণিপুরে।
বাঁকু়ড়া জেলার নদ-নদীর অভাব নেই। বাঁকুড়া শহরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। এই জেলায় ছুঁয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর ও দামোদর। কিন্তু, বছর অন্য সময়ে নদ-নদীগুলিতে তেমন জল থাকে না। তবে বর্ষা নামলেই ফুলেফেঁপে ওঠে নদী। আর এবার আবার অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাঁকুড়ায়। জুনবেদিয়ায় গন্ধেশ্বরী নদী জলে ভেসে গিয়েছে আস্ত একটি পাকাবাড়ি। বিপজ্জনকভাবে জল বেড়েছে জেলার সব নদ ও নদীতেই। দামোদরও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
[ পেনশনের টাকায় দুঃস্থ-মেধাবী পড়ুয়াদের ‘ভালবাসা’ ছড়াচ্ছেন কিষেণ জেঠু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.