সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপির অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের পৈতৃক বাড়ি দখল নিল মেদিনীপুরের একটি সমবায় ব্যাংক। টাকা না মেলা পর্যন্ত বাড়ি ফেরানো হবে বলেই জানান হয়েছে ব্যাংকের তরফে। যদিও এবিষয়ে কোনও মতামত প্রকাশ করতে চাননি সিপিএম নেতা।
সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে পৈতৃক বাড়ি মেরামতি ও ব্যবসার নাম করে মেদিনীপুরের একটি সমবায় ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন নেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও তার ভাই জয়ন্ত সরকার। ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় সুদ ও আসল মিলিয়ে টাকার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬০ টাকায়। জানা গিয়েছে, এবিষয়ে ব্যাংকের তরফে একাধিকবার চিঠি পাঠান হয়েছিল প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা বর্তমান রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার ও তাঁর ভাইকে। অভিযোগ, তাতে কোনও গুরুত্ব দেননি তাঁরা। এরপরই সিপিএম নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি সিপিএম নেতার বাড়িটি তালা দিয়ে দেয় মেদিনীপুরের ওই সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যদিও এবিষয়ে কার্যত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সিপিএম নেতা। তিনি জানান গোটা ঘটনাটি তাঁর ভাই অর্থাৎ জয়ন্ত সরকার জানেন। এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। জানা গিয়েছে, ঋণখেলাপির তদন্তে উঠে এসেছে গড়বেতার আরও এক সিপিএম নেতার নাম। ব্যাংকে লোন নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুকুর আলি নামে ওই সিপিএম নেতাও।
তবে ব্যাংকের তরফেও জানান হয়েছে, ঋণখেলাপির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিপিএম নেতার ভাই জয়ন্ত। তবে তার ব্যবসার অংশীদার দীপক সরকার। সেই কারণে তার বিরুদ্ধেও ঋণখেলাপির অভিযোগ এনেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের তরফে স্পষ্টভাবে জানান হয়েছে, বকেয়া টাকা না মেলা পর্যন্ত বাড়িটি তাদের হেফাজতেই থাকবে। সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরেই পৈতৃক ভিটেয় ফেরত পাবেন সিপিএম নেতা দীপক সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.