সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় স্তরে প্রশংসিত রাজ্যের আরও একটি প্রকল্প। রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ (Banglar Bari) প্রকল্পের সুফল উল্লেখ করে এবার অকুণ্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এই মর্মে নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক (Urban Developement Ministry)। স্বভাবতই খুশির হাওয়া রাজ্যজুড়ে। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প জাতীয় স্তরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। প্রশংসা করেছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকও। এবার বাংলার মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল।
নাগরিক পরিষেবা প্রদানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বাংলার বাড়ি, উৎকর্ষ বাংলা, স্বাস্থ্যসাথী, এরকমই একাধিক প্রকল্প চালু করে জনসাধারণকে অনেক সহজে বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। শহরাঞ্চলে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পটি সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশে চালু হয়েছিল। আর গ্রামাঞ্চলে এই কাজই চলছে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ নামের প্রকল্পের অধীনে। এর দায়িত্ব পঞ্চায়েত দপ্তরের।
ইতিমধ্যে ‘বাংলার বাড়ি’তে দেড় লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৪ লক্ষ। প্রতিটি বাড়ি তৈরির খরচ হয় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ টাকাই দেয় রাজ্য সরকার। বাকিটা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে। অঙ্কের হিসেব বলছে, সেই টাকা সামান্যই। অধিকাংশ ব্যয়ভারই বহন করে রাজ্য। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে। দরিদ্রদের মাথার উপর ছাদ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্পের লোগোও এঁকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। নীল-সাদা বাড়িগুলির দেওয়ালে লেখা – ‘বাংলার বাড়ি’।
এই প্রকল্পটিই এবার সমাদৃত হল কেন্দ্রীয় স্তরে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের এই প্রকল্পটি সবচেয়ে এগিয়ে। পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে ভাল কাজ হয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তাই এখানেও ‘এগিয়ে বাংলা’। তৃতীয়বার ফের রাজ্যের সরকার গঠনের পর এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, কেন্দ্রের ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ প্রকল্পের তুলনায় অনেক ভাল রাজ্যের এই প্রকল্প। দাবি যে মোটেই ভ্রান্ত নয়, কেন্দ্রীয় স্বীকৃতিই তার প্রমাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.