Advertisement
Advertisement
Jamtara gang

‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের কারসাজি, ভুয়ো ফোন-OTP ছাড়াই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৬৫০০০ টাকা

নতুন কায়দার ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের হাতসাফাই!

Bangla News of Jamtara gang: Money stolen from leftist teacher's Bank account at Asansol| Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 24, 2020 9:48 pm
  • Updated:September 24, 2020 9:48 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: গ্রাহকের কাছে ব্যাংককর্মীর পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফোন যায়নি। কোনও OTP-ও আসেনি। তবুও নিমেষের মধ্যে ৬৫ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেল শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) সালানপুর এলাকায়। হ্যাক হয়েছে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তথা বামপন্থী নেত্রী বহ্নি ঘোষের ব্য়াংক অ্যাকাউন্ট। 

জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১ টা ৪৮ মিনিট থেকে টাকা গায়েব হওয়া শুরু হয়। ভোরের মধ্যেই ১৫ বার বহ্নিদেবীর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৬৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রথমে ৫ হাজার টাকা করে ১১ বার, তারপর ৩ হাজার টাকা করে দু’বার এবং ২ হাজার টাকা করে দু’বার টাকা তোলা হয়েছে। রূপনারায়ণপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে বহ্নিদেবীর স্যালারি অ্যাকাউন্ট। সেখান থেকেই টাকা উধাও। এখন অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে মাত্র ১৯০০ টাকা। ঘটনার নেপথ্যে জামতাড়া গ্যাং (Jamtara Gang) রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৩২০০, উত্তর ২৪ পরগনার মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে উদ্বেগ]

বহ্নিদেবীর ঋণ নেওয়া রয়েছে স্যালারি অ্যাকাউন্টটি থেকে। মাসের EMI কাটার পর তার মোবাইলে মেসেজ আসে। তাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হওয়ার কথা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের ম্যানেজার ও পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানান বহ্নিদেবী। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বহ্নিদেবী জানান, তাঁর মোবাইলে একটি ই-ওয়ালেটের অ্যাপ ডাউনলোড করা আছে। কিন্তু সেটি তিনি আদৌ ব্যবহার করেন না। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ব্যাংক সংক্রান্ত কোনও ফোন কল বা ম্যাসেজ আসেনি। কোনও কোন OTP-ও চাওয়া হয়নি। এরপরও কীভাবে এক রাতের মধ্যে দফায় দফায় এতগুলো টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে বের হয়ে গেল? তা তিনি কোনওমতেই বুঝতে পারছেন না।

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে বাংলাদেশ পালানোর ছক বানচাল, নদিয়ায় নার্স হত্যায় পুলিশের জালে স্বামী]

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ও ডিডি বিভাগের এসিপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, কোনও অ্যাকাউন্টে টাকাগুলি ট্রান্সফার হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উনি কোথাও কোনওভাবে নিজের অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য শেয়ার করে ফেলেছেন কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত সম্পূর্ণ করে ইতিবাচক ফল মিলবে বলেই তিনি আশাবাদী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement