Advertisement
Advertisement

Breaking News

Balurghat's bolla kali puja

করোনা কাঁটায় বালুরঘাটের বোল্লা কালীপুজো নিয়ে অনিশ্চয়তা, গাইডলাইনের অপেক্ষায় উদ্যোক্তারা

করোনা বিধি মেনেই আয়োজন শুরু হয়েছে।

Balurghat's bolla kali puja may stopped for corona pandemic ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 30, 2020 10:51 pm
  • Updated:October 30, 2020 11:03 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: করোনার (Coronavirus) থাবায় ব্যতিক্রমের ছোঁয়া প্রায় সবক্ষেত্রেই। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও মানতে হয়েছে একাধিক কোভিড বিধি। এবার পালা কালীপুজোর। কাঠামো পূজা হলেও করোনার জেরে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বালুরঘাটে বোল্লার মূর্তি পুজো এবং মেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দূরত্ববিধি মেনে আয়োজনের প্রস্তুতি নিলেও প্রশাসনের নির্দেশের দিকে তাকিয়েই কর্মকর্তারা।

রাসের পরেই উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত পুজো ও মেলার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বোল্লা এলাকার বোল্লা রক্ষাকালী পুজো অন্যতম। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার নিয়ম করে পুজো হয় কালীর। পুজো ঘিরে তিনদিন ধরে চলা মেলায় উত্তরবঙ্গ তো বটেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা, বিহার থেকেও ভক্ত সমাগম হয়। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর নিরাপত্তায় কয়েক হাজার পুলিশকর্মী-সহ আধিকারিকরা থাকেন। ওয়াচ টাওয়ার, অসংখ্য সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চলে নজরদারি। কিন্ত করোনার জেরে এবার এই পুজো ও মেলা নিয়ে অনিয়শ্চতা রয়েছে। প্রশাসন কী নির্দেশ বা গাইডলাইনে বেঁধে দেয় সেদিকেই তাকিয়ে কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উচ্চতা কমেছে প্রতিমার, বন্ধ মেলা, করোনার কোপে জৌলুষহীন লক্ষ্মীপুজো কাটোয়ায়]

এদিকে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবার বিজয়া দশমীর পরে শুক্রবার বোল্লা কালীমন্দির সংলগ্ন পুকুর থেকে মা কালীর কাঠামো তুলে এনে তার পুজো হয়। কাঠামো পুজোর পরের শুক্রবার থেকে প্রতিমা তৈরির শুরু হয়। এরপর একেবারে রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা পুজো ও মেলা চলে। সেই হিসেবেই বিজয়া দশমীর পরের শুক্রবার এদিন সকালে ঢাক বাজিয়ে মন্দিরের পাশের পুকুর থেকে কাঠামো তুলে আনা হয়। দুধ দিয়ে কাঠামো স্নান করিয়ে লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে পুরোহিত পুজো করেন। কাঠামো পুজোতেও এদিন প্রচুর ভক্তের সমাগম ছিল বোল্লা মন্দির চত্বরে।

বোল্লা পুজো কমিটির ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আমরা দূরত্ব বজায় রেখে এদিন কাঠামো পুজো দিলাম। কিন্ত রাসপূর্নিমার পরের শুক্রবার মায়ের পুজো ও মেলা হবে কিনা আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। এখনও এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পুজো নিয়ে একদিকে মানুষের আবেগ রয়েছে যেমন, তেমনি করোনা যাতে সংক্রমিত না হয় সে ব্যাপারও রয়েছে। সে কারণে প্রশাসনের গাইডলাইন ও নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে আমরা।”

[আরও পড়ুন: করোনা কালে নয়া মডেলে বিসর্জনের ব্যবস্থায় কতটা আটকানো গেল শহরের দূষণ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement