রাজা দাস, বালুরঘাট: খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে অবশেষ টনক নড়ল প্রশাসন ও বালুরঘাট পুরসভার৷ ভাগাড় কাণ্ডে রাজ্যের সব জেলায় জোরদার অভিযান চললেও দক্ষিণ দিনাজপুরে এতদিন তা হয়নি৷ হোটেল বা রেস্তরাঁর খাবারের মধ্যে মাংসের গুণগতমান সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না এই জেলার মানুষ৷ ফলে, আতঙ্ক থেকেই গিয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত জেলা খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর, জেলার সদরে থাকা বালুরঘাট পুরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে অভিযানে নামে সোমবার।
এদিন শহরের স্টেডিয়াম মার্কেটের একটি রেস্তরাঁ কাম হোটেলে প্রথম অভিযান চালানো হয়েছে৷ ফ্রিজে মজুত মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ যদিও পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি যে, মাংসগুলি আদতেও পাঁঠা, মুরগির নাকি অন্য কিছুর। এদিন অভিযান চালাতে গিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না জানিয়েছেন, তাঁকে একা দুই দিনাজপুর ও মালদহ জেলার দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে৷
এই কারণে সব জায়গায় সমান ভাবে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি৷ রাজ্য সরকারের তরফে প্রচুর আধিকারিক নিয়োগ হয়েছে। খুব শীঘ্রই দক্ষিণ দিনাজপুরে তাঁদের কয়েক জনকে পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযান সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন যে, বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তরাঁয় পরিমাণে খুবই অল্প মাংস ফ্রিজে পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। তবে, কুকুর-বিড়াল বা অন্য কিছুর মাংস কি না তা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরেই বলতে পারা যাবে বলেই তিনি জানিয়েছেন৷
এদিকে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল জানান, পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকলেও তাঁরা বিষয়টির উপর কড়া নজরদারি রেখেছেন আগে থেকেই৷ জেলার বিশেষ করে বালুরঘাটে কুকুর বেড়াল বা পচা মাংস বিক্রির কোন ঘটনাই নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.