রাজা দাস, বালুরঘাট: বয়স আশি পেরিয়েছে ঠিকই। কিন্তু, তিনি এখনও বেঁচে আছে। জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে হল এক বৃদ্ধাকে! বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে আপাতত একমাসের বার্ধক্য ভাতার টাকা পেয়েছেন বালুরঘাটের শান্তিবালা দাস। চার মাসের বকেয়া ভাতা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
[ ছাত্রের ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠিয়েছে মোমো! চাঞ্চল্য মহিষাদলে]
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকা থাকেন চুরাশি বছরের বৃদ্ধা শান্তিবালা দাস। কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্বামী। গত বছরের বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছেন। এখন টিনের চালের ঘরে একাই থাকেন শান্তিবালাদেবী। বালুরঘাটের চকভৃগুতে এলাকাতেই থাকেন তাঁর নাতি-নাতনিরা। ঠাকুমাকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সাহায্যও করেন তাঁরা। তবে শান্তিবালা দাসের সংসার চলে বার্ধক্য ভাতার টাকাতেই। ওই প্রৌঢ়া জানিয়েছেন, মাসে ৪০০ টাকা করে পান। বালুরঘাটের ব্লক অফিস থেকে টাকা তোলেন তিনি। মাস চারেক আগে আচমকাই বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। ব্লক অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সরকারি নথিতে নাকি তাঁকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বার্ধক্য ভাতা পেতে হলে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু সমস্ত তথ্য নিয়ে বারবার সরকারি অফিসে গিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত শান্তিবালা দাসের ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়চড়ে বসে প্রশাসন।
চলতি মাসে বার্ধক্য ভাতার টাকা পেয়েছেন শান্তিবালা দাস। বালুরঘাটের বিডিও সুস্মিতা সুব্বা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি বাকি চার মাসের বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কীভাবে জীবিত বৃদ্ধা সরকারি নথিতে ‘মৃত’ হয়ে গেলেন, তাও খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। এদিকে ফের বার্ধক্যভাতা চালুর হওয়া খুশি শান্তিবালাদেবী।
[গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যাংক কর্মীকে গুলি দুষ্কৃতীদের, চাঞ্চল্য অন্ডালে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.