ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণ। এই অভিযোগে বৃদ্ধকে গণপ্রহারের পর পুলিশের হাতে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। অভিযুক্তের নাম নরেশ দাস (৭০)। মারধরের জেরে গুরুতর জখম হয়েছে সে। বালুরঘাট থানার পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার বুনিয়াদপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, বংশীহারির এক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই নির্যাতিতা। ঘটনাটি ঘটেছে দিন দুয়েক আগে বৃহস্পতিবার। নাবালিকার বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নরেশ দাস। সেদিন রাতে সবাই বাড়ি ফিরলেও মুখ খোলেনি নির্যাতিতা। পরেরদিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকেও জানান নাবালিকার পরিবার। ততক্ষণে প্রতিবেশীরাও খবরটি জেনেছেন। উত্তেজিত জনতাই বাড়ি থেকে মেরে বার করে অভিযুক্তকে। এরপর বেধড়ক পেটানো হয়। খবর যায় থানায় পুলিশ এসে মারমুখী জনতার কবল থেকে উত্তেজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই মুহূর্তে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি আছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা।
বলা বাহুল্য, দিনকে দিন বেড়েই চলেছে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাবালিকাকে বাড়িতে একা পেয়েই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কখনও লজেন্স, চকলেট বা খাবারের লোভ দেখিয়েও বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা চলে। মান্দসৌর গণধর্ষণ, আসিফা গণধর্ষণ কাণ্ড তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.