ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: বিডিওর উপর হামলার ঘটনায় বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ বালুরঘাট আদালতের বিচারক। শুক্রবার ওই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তবে দোষী সুভাষ সরকার কোনও অন্যায় করেননি বলে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বালুরঘাটের ডাঙা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপির ডাকা অনাস্থা বাতিল হয়। এই ঘটনায় তৎকালীন বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলে দাবি। যা নিয়ে বিডিওর সঙ্গে বিজেপির বিবাদ চরমে ওঠে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিজেপি নেতা তথা মণ্ডল সভাপতি সুভাষ সরকার বালুরঘাটের বিডিওর কার্যালয়ে ঢোকেন। কিছু বোঝার আগে ওই বিজেপি নেতা পর পর কাঠ ও লোহার দুটি চেয়ার তুলে বিডিওকে মারধর করেন বলেই অভিযোগ। যা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। নিমেষে ওই ছবি ভাইরালও হয়ে যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত বিডিও অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। তাঁর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত বালুরঘাটের জেলা বিজেপি কার্যালয়েই রয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর দুদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিন জেল হেফাজতের পর ওই বিজেপি নেতা জামিনে মুক্তি পায়। সেই মামলায় সুভাষ সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৭ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা চলে। সেই মামলায় সুভাষচন্দ্র সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন এডিজে (দ্বিতীয়) কোর্টের বিচারক। খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া এই মামলায় বিচারক দোষীকে ৪৪৭ ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ২ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া ৩২৩ ধারায় ৬ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন তিনি। এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুভাষ সরকার কোনও অন্যায় করেননি। বিডিও মোটেও ভালো মানুষ নন। বিডিও বলতেন তিনি তৃণমূলের। সুভাষ সরকারের পাশে সবরকমভাবে দল দাঁড়িয়েছে। উচ্চ আদালতে যাব আমরা। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ওই বিডিওর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.