সুদীপ রায়চৌধুরী: উৎসব মিটতেই ফের মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ বাড়তে চলেছে। ফের বাড়ছে ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসমাগ্রীর দাম। বেকারি মালিক সংগঠনের তরফে রবিবার জানানো হয়েছে, পাঁউরুটির (Bread) দাম বাড়ছে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে। পাউন্ড প্রতি ৪ টাকা করে দাম বাড়ানো (Price Rise) হচ্ছে। কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঁউরুটি তৈরিতে খরচ বাড়ছে। তাই বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের থেকে বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে।
ময়দা, চিনি, মাখন – পাঁউরুটি তৈরির মূল উপকরণ। সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই সব কিছুর দাম বেড়েছে অনেকটা। আর তাই উৎপাদন খরচের সঙ্গে লাভের সামঞ্জস্য রাখতে বাড়ানো হচ্ছে পাঁউরুটির দাম। সাধারণ পাঁউরুটি প্রতি পাউন্ডে ৪ টাকা করে দাম বাড়ছে। ৪০০ গ্রাম অর্থাৎ এক পাউন্ড পাঁউরুটির দাম এখন ২৮ টাকা। তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩২ টাকায়। হাফ পাউন্ড (Half Pound) পাঁউরুটি কিনতে এখন খরচ হয় ১৪ টাকা। এবার তা মিলবে ১৬ টাকায়। তার চেয়েও কম অর্থাৎ কোয়ার্টার পাউন্ড বা ১০০ গ্রাম পাঁউরুটি সাড়ে ৭ টাকায় এখন কিনতে পারছেন। কিন্তু ২০ নভেম্বরের পর থেকে তার দাম বেড়ে হবে সাড়ে ৮টাকা।
বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক তথা বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, ”বেকারি শিল্প অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। খরচ সামাল দিতে সব ধরনের পাঁউরুটির দাম বাড়াতে হচ্ছে। বেকারি শিল্পকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত। সকলের কাছে আবেদন, আপনারা সহযোগিতা করুন।” যদিও মিল্ক ব্রেড বা ব্রাউন ব্রেডের দাম ঠিক কতটা বাড়ছে, তা এখনই জানাননি বেকারি মালিকরা। পরে দাম ধার্য করে তা জানানো হবে।
পুজোর আগেই পাঁউরুটির দামবৃদ্ধির দাবি উঠেছিল। তবে সেবার তা কার্যকর হয়নি। রাজ্য বিধানসভায় পাঁউরুটির দামবৃদ্ধি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেছিলেন, ”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে, পাঁউরুটির দাম সবচেয়ে কম। অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে দাম অনেক বেশি। কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতায় পাঁউরুটি শিল্পে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।” কিন্তু এবার আর মূল্যবৃদ্ধি রোখা গেল না। মাস পড়লেই বাড়ির এই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীটি কিনতে হবে বাড়তি দামে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.