সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে নজর কাড়ল বাগডোগরা। শুধু কলকাতা নয়, দেশের তাবড় তাবড় বিমানবন্দরকে টপকে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান দখল করল বাগডোগরা বিমানবন্দর। এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণ যাত্রীদেরই দিচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এমন নজির গড়ায় বিশেষ সেলিব্রেশনের ব্যবস্থাও করতে চলেছে তারা।
বিমানবন্দর অধিকর্তা পি সুব্রহ্ম্যণম এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই দারুণ আনন্দিত। কীভাবে এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখা যায় সে ব্যপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। অধিকর্তা বলেন, “আমরা দ্রুত বিমানবন্দরের এই সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে কী কী করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শীঘ্রই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনা জনসমক্ষে আনা হবে।” যাত্রীদের স্মারক উপহার, বিমানবন্দরে স্মারক হিসেবে হোর্ডিং, বিমানবন্দরকে বিশেষ করে সাজিয়ে তোলা হতে পারে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সম্প্রতি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) একটি সর্বভারতীয় রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির হারে গোটা দেশে দু’নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রথম স্থান পেয়েছে পাঞ্জাবের অমৃতসর। তবে যাত্রী বৃদ্ধির নিরিখে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে বাগডোগরা। অমৃতসরের যাত্রী বৃদ্ধির হার যেখানে ৪৮.১ শতাংশ, সেখানে বাগডোগরার যাত্রী বৃদ্ধির হার ৪৮ শতাংশ। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে এই সাফল্য এসেছে বাগডোগরার ঝুলিতে। দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছে বিহারের পাটনা বিমানবন্দর। তাদের বৃদ্ধির হার ৪৭.৩ শতাংশ। কলকাতা বিমানবন্দরে ২৫.৭ শতাংশ যাত্রী বৃদ্ধি হয়েছে একই সময়ে। ২১টি বিমানবন্দরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যে সমস্ত বিমানবন্দরে বছরে কুড়ি লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করে, সে সব বিমানবন্দরেই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই হয়েছে ফল ঘোষণা। এই সাফল্যে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স, নর্থ বেঙ্গলের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এটি অত্যন্ত আশাপ্রদ বিষয়। অনেকের ধারণা ছিল সিকিমে একটি বিমানবন্দর তৈরি হলে বাগডোগরার গুরুত্ব কমে যাবে। কিন্তু তা যে অমূলক তা প্রমাণ হয়েছে। এই এলাকায় যত যাত্রী বাড়বে তত এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।” আশাবাদী হিমালয়ান হোটেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.