জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের বিতর্কে জড়ালেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। এর আগে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে রানি রাসমণির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। বিরোধীরা তাঁর সমালোচনায় সরব। বিশ্বজিৎ দাসের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্যকে বিতর্কিত বলে মানতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল।
আগামী একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। তার আগে শনিবার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয় বাগদায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভামঞ্চ থেকে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সকলের কথা ভেবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্প করেছেন। এমন মানুষ দ্বিতীয় পাবেন? ভগিনী নিবেদিতাকে আমরা দেখিনি। শুনেছি মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন উনি। তবে এমন একজন নেত্রীকে দেখছি যিনি সকলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর মধ্যে ভগিনী নিবেদিতার ছায়া দেখতে পাই।”
এর আগে গত ৪ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রানি রাসমণির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। বনগাঁয় দলীয় কর্মী সম্মেলন এবং রক্তদান শিবিরে তিনি বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রানি রাসমণির মতো করে কাজ করছে। তার মতো করেই আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মমতা। ১০০ বছর সকলে মনে রাখবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।” তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবারও একইভাবে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বজিৎ।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্যকে একেবার ভাল চোখে দেখছেন না। তিনি বলেন, “তোষামোদ করতে গিয়ে একথা বলেছেন।” বিশ্বজিৎ দাসকে ‘অপদার্থ’ বলেও কটাক্ষ তাঁর। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও বাগদার বিধায়ককে তুলোধনা করেছেন। তিনি বলেন, “আদতে এটা পিছনের সারি থেকে সামনে আসার চেষ্টা। মহাপুরুষদের অপমান করা হচ্ছে বারবার। এটা বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত যে বা যারা এসব বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।” যদিও বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক করার মতো কিছু নেই বলেই মনে করছে তৃণমূল। সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “আসলে তৃণমূলের শৃঙ্খলা দেখে বিরোধীদের হিংসা হয়। তাই সমালোচনা করছেন তাঁরা। সকলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের আলোয় এনেছেন। তাই শুধু বিধায়ক কেন, সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.