জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam), অথচ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাতে আসেনি অ্যাডমিট কার্ড। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পরীক্ষার্থী এবছর উচ্চমাধ্যমিকে বসার সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছিল। বছরটা নষ্ট হবে বলেই ধরে নিয়েছিল সে। কিন্তু ‘মিরাকল’ ঘটে গেল পরীক্ষার আগের রাতেই। রাতারাতিই অ্যাডমিট কার্ড (Admit Card) পৌঁছে গেল বাড়িতে। আর তা নিয়ে নিশ্চিন্তে মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে বছর আঠারোর ছেলেটি। যাঁর চেষ্টায় এই অসাধ্য সাধন, তিনি বাগদার (Bagda)পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা দেবী। তিনিই তৎপর হয়ে অ্যাডমিট কার্ড জোগাড় করে দেন। তাঁর এই ভূমিকায় আপ্লুত পরীক্ষার্থী।
বাগদার কুরুলিয়া হাই স্কুলের ছাত্র মিলন সরকার৷ এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছ সে৷ মিলনের বাবা কৃষক৷ বয়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে তার পরীক্ষাকেন্দ্র৷ শুক্রবার ছিল অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু মিলন স্কুলে গিয়ে দেখে, তার অ্যাডমিট কার্ড (Admit Card)আসেনি। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও সমস্যা সমাধান হয়নি৷ মিলন ভেবেছিল, এবছরটা বুঝি নষ্ট হয়ে গেল, আর উচ্চমাধ্যমিকে বসা হল না৷
কিন্তু সোমবার স্থানীয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা দেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মিলন ও তার পরিবার৷ গোপা দেবী সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠেন। তিনি শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার রাতের মধ্যেই অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাতেই এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারছে মিলন। শেষ মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িতে এভাবে সব ব্যবস্থা করে দেওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মিলনের পরিবার। তাঁকে প্রণাম করেই মঙ্গলবার পরীক্ষা দিতে গিয়েছে মিলন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.