সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্যালাইন খুলতে গিয়ে অসবাধনতাবশত শিশুর হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আঙুল বাদ যায়নি, সামান্য কেটে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনের নেপথ্যে সম্পর্ক না সম্পত্তি? উত্তর হাতরাচ্ছে পুলিশ]
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাস দুয়েকের ইমরান শেখকে রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভরতি করা হয়। ভরতির পর থেকেই স্যালাইন চলছিল তার। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার এক জুনিয়র চিকিৎসক তার হাতের স্যালাইন বদল করতে যান। সেই সময় শিশুর হাতে থাকা লিউকোপ্লাস্ট খোলার সময় কোনওভাবে ওই শিশুর ডান হাতের বুড়ো আঙুলের ওপরের দিকের অংশ কেটে বাদ চলে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি শিশুর পরিবারের নজরে পড়ে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন শিশুর পরিবারের সদস্যরা। এরপরই গোটা বিষয়টি জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুর পরিবারের সদস্যরা।
শিশুর বাবা সিটু শেখের অভিযোগ, ‘‘জুনিয়র ডাক্তার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।’’ সন্তানের আঙুল কেটে নেওয়ার ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দাবি তুলেছেন, এ বিষয়ে হাসপাতাল উপযুক্ত পদক্ষেপ নিক। যাতে আগামী দিনে এই সমস্যা অন্য কারও সঙ্গে না হয়।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। জানা গিয়েছে, শিশুটির হাতের উপরের অংশ কেটে গেছে ঠিকই, কিন্তু আঙুল বাদ যাওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। খবর পাওয়া মাত্র শিশুটিকে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন। কিন্তু কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.