প্রতীকী ছবি।
রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: হাসপাতালের ভেতরে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে মোটর বাইক। আর বেআইনিভাবে পার্কিং করে রাখা মোটরবাইকে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে মৃত্যু হল সদ্যোজাতর। বেআইনি বাইক পার্কিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করেছে জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বেআইনি পার্কিংই শিশুমৃত্যুর জন্য দায়ী, তা মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বছর চব্বিশের অন্তঃসত্ত্বা বধূ সুস্মিতা সাঁওতাল কালচিনির রাঙামাটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। লতাবাড়ি ব্লক হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে আবার সুস্মিতাকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে সুস্মিতাকে নিয়ে ঢোকার মুখে বেআইনিভাবে পার্কিং করে রাখা বাইকে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যায় বলে অভিযোগ। আর তার জেরে রাস্তাতেই সন্তান প্রসব হয় সুস্মিতার। সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়।
সুস্মিতার মা নীলমণি সাঁওতাল বলেন, “রাস্তাতে জংশন এলাকায় শিশু প্রসব হয়। তার পর অ্যাম্বুল্যান্স তাড়াতাড়ি হাসপাতালের পিছন দিক থেকে ঢোকার চেষ্টা করে। সেখানে যানজটের জেরে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারে না। তার পর ঘুরে আম্বুলেন্স হাসপাতালের সামনে দিয়ে ঢোকে। কিন্তু সেখানেও প্রসূতি বিভাগের সামনে রেখে দেওয়া ২০-২৫ টি বাইকে আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। বাইক সরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকাতে ঢোকাতে শিশুর মৃত্যু হয়ে যায়। যানজটে না পড়লে শিশুটি বেঁচে যেত।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন ওই প্রসূতি। তবে বেআইনিভাবে বাইক পার্কিংয়ের কারণে অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। ”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.