চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: চৈত্রের পূর্ণিমায় গ্রামবাংলায় শুরু হয়েছে কীর্তনের আসর। প্রচারে বেরিয়ে সেই আসরে ঢুকে পড়লেন বিজেপির প্রার্থী, তথা আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। মঞ্চে উঠে গাইলেন “তা বলে কি প্রেম দেবে না যদি মারি কলসীর কানা, নেশার ঘোরে”। করতালিতে দিয়ে উঠলেন দর্শকরা। কীর্তন করতে আসা খোল বাদক থেকে গায়করা সেলফি তুললেন তাঁর সঙ্গে। শুক্রবারের রাতে কুলটি মাতিয়ে দিয়ে গেলেন বাবুল।
তবে এই অনুষ্ঠানে ঢুকে রাজনৈতিক কথা তিনি বলেননি। কোনও বার্তাও তিনি দেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে জনসংযোগ বাড়াতে বাবুলের কীর্তনের আসরে উঠে পড়াও এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তা। শুক্রবার রাতে কুলটির গাঙ্গুঠিয়া গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। রাত সাড়ে নটা নাগাদ কুলটিতে হঠাৎ আগমন বাবুলের। খবর পেয়ে কুলটির তিনটি মণ্ডলের সভাপতিও পৌঁছে যান সেখানে। সঙ্গে চলে আসেন বহু কর্মী।
বাবুল সঙ্গে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে আসেন। কুলটির শ্রীপুর মোড়ে চায়ের দোকানে সপরিবারে চা খান। সেখানে দলীয় কর্মীদের একত্রিত ডিসেরগড়ের উদ্দেশে পা বাড়ান। পথেই গাঙ্গুটিয়া গ্রামে চব্বিশ প্রহরের অনুষ্ঠান দেখে থমকে দাঁড়ান। বাবুলকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা তাঁকে বরণ করে নেন। তিনি বসে কীর্তনপালা শোনেন। তারপর মঞ্চে উঠে গায়ক ও বাদকদের ভাল গায়কির জন্য শুভেচ্ছা জানান।
দর্শকদের অনুরোধে ফিরে যাওয়ার দু কলি গান করেন “যদি জগাই মাধাই না থাকত, তবে নিমাইকে কী চিনতো লোকে? তা বলে কি প্রেম দেবে না, যদি মারো কলসীর কানা…। সেখান থেকে বাবুল সুপ্রিয় বেরিয়ে যান ডিসেরগড়ে। ইসিএলের সিএমডি অফিসের কাছেই এক নির্বাচনী কার্যালয়ে তৈরি হয়েছে। সেখানে তিনি দেওয়াল লিখন করেন। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে এই পার্টি অফিসে দেওয়াল লিখতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে প্রহৃত হন বিজেপির কর্মী সঞ্জয় ঘোষ। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পা আচার্য্য ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করেছিলেন। এরপর দু’পক্ষের অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। সেই অসামপ্ত দেওয়াল লিখন বাবুল সুপ্রিয় নিজে সম্পূর্ণ করেন। এদিন তিনি জানান, যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হবেন, তিনি নিজে পৌঁছে যাবেন সেখানে। তিনি দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দেন সবসময় সঙ্গে আছেন বিপদে আপদে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.