চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাতে উন্নয়ন থমকে যায় বা রাজায়-রাজায় যুদ্ধ লাগলে উলুখাগড়ারা প্রাণ হারায়৷ ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। যাঁরা ভোট দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তৈরি করেছে। আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল সম্প্রসারণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে এমনই সৌজন্যের রাজনীতির বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি৷ তাই নিয়েও মুখ খোলেন স্থানীয় সাংসদ৷ বিতর্ক উসকে শ্রম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙোয়ারকে লেখা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে৷ বলেন, রাজনৈতিক রঙের সংমিশ্রণে অনুষ্ঠান মঞ্চটি তৈরি হয়েছে গেরুয়া ও নীল-সাদ রঙ দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটছে না।
[মাজার থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত শিশু-সহ একই পরিবারের ৩ জন]
শুক্রবার হাসপাতলের নয়া ভবন ও সম্প্রসারণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাঙোয়ারও৷ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে চলেছে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের এই নবতম ভবন। কিন্তু এদিনও পিছু ছাড়ল না বিতর্ক৷ প্রথমেই, অনুষ্ঠানে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ও মেয়রের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক উসকে দেন বাবুল সুপ্রিয়৷ অভিযোগ করেন, আমন্ত্রণ সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে তাঁরা অনুষ্ঠানে আসেননি৷ অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী। চিঠিটি সভার মাঝে দেখিয়ে বাবুল অভিযোগ করেন, মলয়বাবুর দেওয়া চিঠির ভাষাটি অসৌজন্যমূলক। রাজনৈতিক সৌজন্যতার অভাবেই তাঁরা আসেননি। কারণ, মলয় ঘটক চিঠিতে লিখেছেন, কেন্দ্র সরকার এক টাকাও দেয়নি, হাসপাতালটি চলছে রাজ্যের টাকায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই শব্দটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেন্দ্র অনুমোদন দেবে, রাজ্য চালাবে এটাই নিয়ম। ইএসআইয়ের ক্ষেত্রে তাই নিয়ম।
[চুরুলিয়ার দুরাবস্থায় দুঃখ পেয়েছিলেন বাজপেয়ী, স্মৃতিচারণায় নজরুল অ্যাকাডেমির সদস্যরা]
জানা গিয়েছে, ইএসআই হাসপাতালটি মলয় ঘটকের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। তৃণমূলের অভিযোগ, একই প্রকল্পকে দু’বার উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৫-র ২৫ আগস্টেও নাকি একবার ভবন সম্প্রসারণের শিলান্যাস করেন বাবুল সুপ্রিয়। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য আবারও একই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি। প্রসঙ্গে, বাবুল বলেন, সেবার এই প্রকল্পের জন্য মাত্র পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়৷ তার শিলান্যাস করেন। কিন্তু ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতায় বাধাপ্রাপ্ত হয়৷ ফলে তা করতে দেরি হল৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙোয়ার বলেন, হাসপাতালে আগে ১০০ শয্যা ছিল৷ এখন ১৫০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.