সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির কায়দাতেই তাঁদের ঘায়েল করতে মরিয়া তৃণমূল। তাই গেরুয়া শিবিরের ‘জয় শ্রীরামের’ পালটা ‘জয় বাংলা’ কর্মসূচি নিয়েছে শাসকদল। অর্জুন সিং, দিলীপ ঘোষের মতো তাবড় নেতাদের ব্যক্তিগত নম্বর এর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নম্বরে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ লিখে পাঠানোর। এবার আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র নম্বরে পাঠানো হল ‘জয় বাংলা’। সোমবার রাতেই সেই ছবি প্রকাশ করেছেন বাবুল।
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কর্মীদের দেখলেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলছেন বিজেপি সমর্থকরা। সাধারণ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তো বটেই খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে একাধিকবার। দিন কয়েক আগেই ভাটপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেয় বিজেপি সমর্থকরা। যা শোনামাত্রই মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। যা রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের জন্য। অনেক ভেবেচিন্তে শাসক শিবিরের নেতা-কর্মীরা ‘জয় শ্রীরামের’ পালটা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তৈরি করেছে। ঠিক হয়েছে, ‘জয় শ্রীরাম’-এর পালটা তৃণমূল বলবে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা।’
বেশ কিছুদিন ধরেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতাদের ফোন নম্বর। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে ওই নম্বরগুলিতে ‘জয় বাংলা’ পাঠানোর। আর দলের নির্দেশে কর্মীরা যে সেই কাজ করছেন, ফের তার প্রমাণ মিলল সোমবার রাতে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, একটি নম্বর থেকে তাঁকে ‘জয় বাংলা, জয় হিন্দ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ পাঠানো হয়েছে। এর পালটা ‘জয় শ্রীরাম’ও বলেন আসানসোলের সাংসদ। এর পাশাপাশি তিনি লেখেন, “তৃণমূল যেভাবে আমাদের নম্বর চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, ভাল করছে। করতে থাকুন, আমরা প্রস্তুত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.