চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ভোটের আগে গেয়েছিলেন ‘এই তৃণমূল আর না’। ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল সেই গান। আর ভোট মিটতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বাবুলের কণ্ঠে শোনা গেল নয়া তির্যক গান। ‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যুতে প্যারোডি ফরম্যাটে নতুন গান শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
[ আরও পড়ুন: হুকিং করে মেলায় বিদ্যুৎ চুরি, কাজ করতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত ১ ]
বুধবার ও বৃহস্পতি আসানসোলে দু’দিনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। রানিগঞ্জে দলীয় পার্টি অফিসের উদ্বোধন করে ‘দিদিকে বলো’র সমালোচনায় মুখ খোলেন তিনি৷ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘ফ্লপ কর্মসূচি৷ কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুরো ব্যাপারটাই একটা মজা হয়ে গিয়েছে।’’ এমনকী, নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিশোর কুমারের গান শুনি৷ আমাদের প্রশান্ত কিশোর লাগে না৷’’
এরপরই তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘ম্যায় তো রাস্তেসে যা রাহা থা৷ রাম নাম গা রাহা থা৷ দিদিকো গুস্সা আয়া তো, ম্যায় ক্যায়া করু’। বাবুল সুপ্রিয়র গলায় তাৎক্ষণিক নতুন গানের সাক্ষী ছিলেন জামুড়িয়াবাসী। শুধু গান নয়, এদিন রানিগঞ্জে নতুন স্লোগানও তৈরি করলেন আসানসোলের সাংসদ। ‘দিদিকে বলো, হরি বলো’, এই স্লোগানের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ব্যঙ্গ করলেন তিনি৷
[ আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলে পোকা! তেহট্টে ঘটনার প্রতিবাদে খাবার বয়কট অধিকাংশ পড়ুয়ার ]
এছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জামুড়িয়ার হরিমন্দিরে গানের অনুষ্ঠানেও ঢুকে পড়েন তিনি। মন্দিরে বারন্দায় বসে হারমোনিয়ামের সঙ্গতে ভজন, লোকগীতির মতো গান ধরেন। সাধারণ মানুষের আবদার মেনে সেলফি তোলেন। আর এখানেই ‘দিদিকে বলো’র ব্যাঙ্গ করে প্যারোডি গান বাঁধেন তিনি। তালে তালে নেচে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘শুনেছি ‘দিদিকে বলো’ অ্যাপে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগকারী কোন রাজনৈতিক দলের, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতে হলে দলের নাম কেন করতে হবে। আসলে এই কর্মসূচির গোড়াতেই গলদ রয়েছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.