চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বিতর্কিত গান বাজিয়েই দ্বিতীয় দফায় প্রচার শুরু করলেন বাবুল সুপ্রিয়। শুক্রবার প্রচারে নামার আগে আাসানসোলের হটন রোড কালীবাড়িতে পুজো দেন তিনি। পুজোর সময় ছিলেন স্ত্রী রচনা শর্মা ও ছোট মেয়ে নয়না। মন্দিরে ঢাকও বাজান আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। এরপর উঠে পড়েন হুড খোলা জিপে। রোড শো করেন হটন রোড, ইসমাইল এলাকায়। রোড শো চলাকালীন মাইকে বাজতে থাকে “এই তৃণমূল, আর না” গানটি। যে গানের উপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ এনিয়ে টানাপোড়েন চলছে এখনও৷
রাস্তার পাশে বাড়ির ছাদে, ব্যালকনিতে, এমনকী রাস্তায় সেই গানের তালেই রীতিমতো কোমর দোলাতে দেখা যায় অনেককেই। মাঝে ইসমাইল কালীবাড়িতে প্রণাম করেন, পুজো দেন বাবুল। রোড শো-তে বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রচারের ফাঁকে সকলের আবদার মেটান আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ। শুক্রবার রানিগঞ্জেও রোড-শো করেন বাবুল সুপ্রিয়।
প্রচারে নেমে এদিন বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলকে একহাত নেন। বলেন, ‘শহরবাসীকে বলেছি মুনমুন সেন ভাল আর্টিস্ট, ভাল মানুষ। আপনারা মুনমুন সেনের সঙ্গে ছবি তুলুন, তাঁকে মিষ্টি খাওয়ান, ডাবের জল খাওয়ান৷ কিন্তু যে পার্টিকে উনি রিপ্রেজেন্ট করছেন সেই তৃণমূলকে একটাও ভোট দেবেন না।’ বাবুলের কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যের উচিত ‘ছানিশ্রী’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা। সেই প্রকল্পে যাঁরা উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না, তাঁদের চোখের ছানি কাটানোর ব্যবস্থা করুক তৃণমূল নেতারা। আমি সাংসদ হিসেবে বছরে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা পাই। আসানসোলের মানুষ জানে, কেন্দ্র থেকে কয়েকশো টাকা আনিয়েই উন্নয়ন করেছি।’’
এদিকে আবার লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির থিম সং গেয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছে বাবুল সুপ্রিয়। নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে তাঁকে। বাবুলের জবাব পর্যালোচনা করার পর দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচনী দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘স্লোগানে সুর দিয়ে গান গেয়েছি। রাজনৈতিক দলের স্লোগানে যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে গানে আপত্তি কীসের?’ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পালটা প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.