অভিরূপ দাস: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় বর্ধিত বেতন মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে বেতনবৃদ্ধির দাবি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্যে সরকারের কাছে দরবার করেও বেতনের অঙ্ক বাড়ছে না। এসব নিয়ে এবার রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন প্রায় সাড়ে চোদ্দশ আয়ুশ (AYUSH) চিকিৎসক। করোনা আবহে পরিশ্রম বেড়েছে। আয়ুশ চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোয় কাজ করতে হচ্ছে। দ্বিগুণ সময় দিতে হচ্ছে ফিভার ক্লিনিকে। কিন্তু রাজ্য সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও বেতন বাড়াচ্ছে না বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁদের বেসিক স্যালারি ২৫ হাজার টাকা। অবিলম্বে তা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করার দাবি তুলেছেন আয়ুশ চিকিৎসকরা।
প্রতিটি জেলায় বিদ্যালয়ে গিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের স্ক্রিনিং করানোর দায়িত্বও আয়ুশ চিকিৎসকদের। অভিযোগ, বেতন বাড়ানো নিয়ে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন টালবাহানা চলছে রাজ্যে। ৮ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জারি করা নোটিসে বলা হয়েছিল, দেড় মাসের মধ্যে বর্ধিত বেতনক্রম চালু করা হবে। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি এখনও। রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম অথবা RBSK আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনা আবহে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা দ্বিগুণ কাজ চাপিয়ে দিচ্ছেন আয়ুশ মেডিক্যাল অফিসারদের উপর। অথচ অন্যান্য মেডিক্যাল অফিসারদের থেকে অর্ধেক বেতনে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সেফ হোম থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে করোনা চিকিৎসায় যেতে হচ্ছে আয়ুশ চিকিৎসকদের। ৩০ জুলাই ই-মেলের মাধ্যমে গণ ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। মেল পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ মিশনের রাজ্যের ডিরেক্টরকেও। আয়ুশ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ”আমাদের দশজন আয়ুশ আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত। জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছি। তারপরেও বেতন বাড়ছে না।”
করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন হাসপাতাল, গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজ করে চলেছেন আয়ুশ চিকিৎসকরা। হাসপাতালের গণ্ডিতে আটকে না থেকে আশা কর্মীদের সঙ্গে এই চিকিৎসকরা যাচ্ছেন আক্রান্তের বাড়িতে, ভরসা জোগাচ্ছেন বাড়ির সদস্যদের, এমনকী কাজ করছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও (Quarantine Centre) । করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই যোদ্ধারা কাজ করে চললেও, আর্থিক স্বীকৃতি মিলছে না বলে অভিযোগ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও দ্রুত তাঁদের আর্থিক সুবিধা বলবৎ হবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন ১৪৩৬জন আয়ুশ চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.