শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এপার বাংলায় এসেও শেষরক্ষা হল না। ভারতে আশ্রয় নিতে এসে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আবদুল কাদির, বয়স ২৭ বছর। বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। সে বাংলাদেশের বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিদায় নিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অস্তাচলে আওয়ামি লিগ (Awami League)। উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তবে অশান্তি, হানাহানি থামেনি। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর মাঝে আওয়ামি লিগের ছাত্রনেতা আবদুল কাদির নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এসে পড়েন। আর তার পর শনিবার রাতে বিএসএফের হাতে আটক হন তিনি। রাতেই বিএসএফ আটক বাংলাদেশের ছাত্রলিগের নেতা আবদুল কাদিরকে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হতেই ছাত্রলিগের নেতা আবদুল কাদির ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। এর পর লুকিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চেপে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে এসে পৌঁছয়। কারও যাতে সন্দেহ না হয় সেই কারণে সম্পূর্ণ বিপরীত একটি পথ ধরে সে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পথে পাড়ি দেয়। বাংলাদেশের একাধিক নদী-নালা পার করে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এসে একটি নৌকায় চেপে বসে আবদুল কাদির। পদ্মা নদী পার হয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুর এলাকায় বিএসএফের (BSF) হাতে ধরা পড়ে যায় সে।
বহুড়া পুলিশ ফাঁড়ির বিএসএফের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। পদ্মা (Padma) নদীর স্রোতের টানে আবদুল কাদিরের নৌকা সম্পূর্ণ অন্যদিকে ভেসে যেতে থাকলে বিএসএফের জওয়ানদের নজরে আসে। তাঁরা ছাত্রলিগ নেতাকে তাকে আটক করে। পুলিশি জেরায় ধৃত বাংলাদেশি ছাত্রলিগের নেতা আবদুল কাদির জানিয়েছেন, ”জীবন বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে এসেছিলাম।” রবিবার দুপুরে ধৃতকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.