সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনধের রাজনীতিতেই ফিরল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার সকাল থেকেই তার প্রভাব দেখা গেল প্রায় গোটা দার্জিলিং জুড়ে। শৈলশহরের রাস্তাঘাটে মিলছে না কোনও পর্যটকের দেখা। স্থানীয় মানুষদের দেখাও তেমন মেলেনি। অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ রাখা হয়েছে। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রয়েছে কড়া পুলিশি প্রহরা। গোর্খা নেতা বিমল গুরুং আরও বড় ও ব্যাপক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্লক অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়শি দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। খোলা রয়েছে স্কুল। পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক।
শুক্রবার থেকেই চলছে মোর্চার এই পাহাড় অচলের চেষ্টা। তবে ওই দিন ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকে তেমন সুবিধা করতে পারেনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সচল রেখেছিলেন জনজীবন। রাজ্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপে পিছু হটলেও নিজেদের সেই চিরাচরিত বনধের পন্থাতেই ফেরে মোর্চা। প্রথমে জানানো হয়ছিল বনধের জন্য পর্যটকদের কোনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু পরে নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং ঘুরপথে পর্যটকদের পাহাড় ছাড়ার ফতোয়া দেন। জানিয়ে দেন, সোমবার থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু হবে। এই অবস্থায় পর্যটকদের নেমে যাওয়াই ভাল।
[সোমবার চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছে হৃদরোগে আক্রান্ত পাক শিশু]
মোর্চার বনধের আওতা থেকে অবশ্য বাইরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, দোকান, পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। কিন্তু গুরুংদের এই হুঁশিয়ারির পরই পর্যটকদের মধ্যে পাহাড় ছাড়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের ভরসায় যারা শনিবার পাহাড়ে গিয়েছিলেন। তারাও এখন দ্বিধায়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় এভাবে সিদ্ধান্ত বদলে ক্ষুব্ধ পর্যটকরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
Tourists are facing a lot of problems due to bandh; will have to think twice before coming to Darjeeling again: Shahbaaz, tourist pic.twitter.com/aoL2dbFhEO
— ANI (@ANI_news) June 12, 2017
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে গুরংদের ডাকা এই বনধের মোকাবিলা করতে তৈরি রাজ্য সরকারও। পাহাড় সচল রাখতে তৃণমূল নেতারাও সোমবার থেকে পথে নামছেন। পাশাপাশি বনধে ছুটি নেওয়া যাবে না বলেও সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দপ্তরে অনুপস্থিত থাকলে বাদ পড়বে একটি কর্মদিবস। জায়গায় জায়গায় মোতায়েন রয়েছে সেনা ও পুলিশ। কোথাও কোনও অশান্তি আঁচ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামলা এড়াতে পুলিশকর্মীদের জন্য হেলমেট ও বিশেষ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[পুজো পরিক্রমাতে সুযোগ মিলবে মারাদোনা দর্শনেরও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.