রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: ঘোড়ার গাড়ি এখন নামেই রয়ে গিয়েছে। কলকাতা শহরে হাতে গোনা কয়েকটি দেখা যায়। কিন্তু জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিতে সেভাবে চোখে পড়ে না ঘোড়ার গাড়ি। এবার সেই উদ্যোগ নিল মালদহ জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলবে ঘোড়ার গাড়ি। তাতে চেপেই ঘুরবেন পর্যটকরা।
জানা গিয়েছে, মালদহের গৌড়ে পর্যটন কেন্দ্রে ঘোড়ার গাড়ি করে পর্যটকদের ঘোরানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে রাজ্য সরকার। মালদহে ঘোড়ার গাড়িই চলত আগে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। ঘোড়ার গাড়ির বদলে শহর ছেয়ে গিয়েছে টোটো ও অটোতে। আর তার প্রভাবে হারাতে বসেছে জেলার ঐতিহ্য ও ইতিহাস। সেই ইতিহাস যাতে ফিরিয়ে আনা যায় অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়ি করে পর্যটকরা যাতে মালদহের পর্যটনকেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সে বিষয়টি দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে অনুরোধ করেন বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। বিধায়কের অনুরোধে সাড়া দেন গৌতম দেব। মন্ত্রী জানান, তিনি মালদহ যাবেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন।
মালদহ রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে গৌড়, ফিরোজ মিনার ও চমকাতি মসজিদের মতো জায়গা রয়েছে। এই জায়গাগুলিতে ঘুরতে এখন পর্যটকদের ভরসা টোটো ও অটো। এমনিতে খুব একটা অসুবিধা না হলেও ঘোড়ার গাড়ির মাহাত্ম্য আলাদা। ঘোড়ার গাড়ি চেপে দর্শনীয় স্থান ঘোরার অনুভূতিই অন্য। হয়তো শহরের মানুষ রোজ এই ঘোড়ার গাড়ি চড়বে না। কিন্তু পর্যটকদের জন্য এটি অন্যতম আকর্ষণ হবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। কলকাতাতেও ঘোড়ার গাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এবার সম্ভবত সেই রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে মালদহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.