Advertisement
Advertisement

এখনও থমথমে আউশগ্রাম, আদালতে ধৃত সিপিএম নেতা

ধীরে হলেও পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরছে আউশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে৷

Ausgram limps back to normalcy, arrested CPM leader produced in court
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 30, 2017 7:47 am
  • Updated:January 30, 2017 7:47 am  

ধীমান রায়, আউশগ্রাম: সোমবার সকালে থেকেই থমথমে অউশগ্রাম৷ যে স্কুলের জমি দখল করে সিভিক পুলিশ কর্মী দোকান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেই আউশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে এদিন সকালে ৭৫০ পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ৪০ জন ছাত্র ও ৩২জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর মধ্যে মাত্র ছ’জন হাজির হয়েছিলেন৷ স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দুপুর সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই স্কুলে হাজির হন আউশগ্রাম এক নম্বরের বিডিও চিত্তজিত্‍ বসু ও বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার৷ তাঁরা স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের পড়াশোনা শুরু করতে অনুরোধ জানান৷ উভয়েই নির্ভয়ে ক্লাস শুরু করতে শিক্ষকদের অনুরোধ জানান৷ বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে৷ বেশ কয়েকজনের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেফতার করা হবে৷”

(আউশগ্রাম থানায় ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন)

এই অবস্থার মধ্যে গোটা আউশগ্রামকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক৷ পুরুষদের প্রায় দেখা মিলছে না৷ শুধুই ভেসে আসছে ভারী বুটের শব্দ৷ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, পুলিশ ও পুলিশের বাইক বাহিনী৷ এরই মধ্যে রবিবার রাতে সিপিএমের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুরেন হেমব্রমকে তাঁর চণ্ডীপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আজ তাঁকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করবে পুলিশ৷ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতেই গুসকরার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াইকে তাঁর গুসকরার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ আদালত তাকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ কিন্তু অনুগামীদের বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁকে আউশগ্রাম, ভাতার বা মঙ্গলকোট থানায় রাখা হয়নি৷ এমনকী, কোন থানায় রাখা হয়েছে সে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ৷

Advertisement

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আউশগ্রামের রাজনীতির ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস৷ তারা আউশগ্রামে পথসভা করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ হাজির থাকবেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ কিন্তু পুলিশ সভার অনুমতি দেয়নি৷ তাই গাড়িতে ঘুরে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাবে কংগ্রেস৷ এমনটাই জানিয়েছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সেখান থেকে অধীরবাবুর আউশগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে৷ ঘটনার পিছনে তৃণমূলের দুই নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও চঞ্চল গড়াইয়ের বিবাদের দিকে আঙুল তুলছেন এলাকার রাজনীতিকরা৷ উল্লেখ্য, রবিবারই অনুব্রতবাবু প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আউশগ্রামকে উত্তপ্ত করছে চঞ্চল গড়াই৷ এরই পাল্টা চঞ্চলবাবু বলেছিলেন, অউশগ্রামে তৃণমূলকে পথ দেখানোর দাম দিচ্ছে দল৷

(ভাঙড়কে শান্ত করতে ঢুকল ব়্যাফ, কমব্যাট ফোর্স)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement