চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাড়ির চৌহদ্দিতেই চারটি কুকুরছানাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে। দুটি কুকুরছানা মারা গিয়েছে। বাকি দুটির চিকিৎসা চলছে।
[ মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত সেনা জওয়ানের ছেলে! হতবাক বাবা]
আসানসোল শহরের হিলভিউ এলাকায় থাকেন জ্যাকি রডরিক্স। পেশায় তিনি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা। এলাকার পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত জ্যাকি। রাস্তার ১০ কুকুরকে দেখভাল করেন তিনি। বড় কুকুরগুলি রাস্তাতেই থাকে। তবে চারটি কুকুরছানাকে নিজের বাড়ির চৌহদ্দিতেই রেখেছিলেন তিনি। জ্যাকি রডরিক্সের দাবি, সোমবার সকালে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠোনে যন্ত্রণায় ছটফট করছে কুকুর শাবকগুলি। কিছুক্ষণের মধ্যে দুটি কুকুরছানা মারাও যায়। আসানসোলের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জ্যাকি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে যে দুটি কুকুরছানা বেঁচে ছিল, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওই পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাই। কুকুর শাবক দুটি এখন ভরতি হাসপাতালে।
কিন্তু, কেন এমন পরিণতি হল কুকুরছানাদের? জ্যাকি রডরিক্সের অভিযোগ, তাঁর কুকুর পোষা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন কয়েকজন প্রতিবেশী। তাঁরাই কুকুর ছানাগুলিকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য পার্থ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহরে জনসংখ্যা যত বাড়ছে, পশুদের সঙ্গে মানুষের সংঘাত বাড়ছে। এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। অসুস্থ কুকুর ছানাগুলিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ১৬ কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারা ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল। নার্সিং হস্টেলের পিছনে কুকুর ছানাদের লাঠিপেটা করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এনআরএসের দু’জন নার্সিং পড়ুয়াকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ।
[রোগীর সঙ্গে লিফলেটে নিজেদের ছবি, থ্যালাসেমিয়া রোধে অভিনব উদ্যোগ দম্পতির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.