Advertisement
Advertisement
তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন

উপনির্বাচন ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত করিমপুর, চূড়ান্ত হেনস্তার মুখে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ

বাকি ২ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, ভোটদানের গড় হার ৬৪ শতাংশ।

Assembly Byelection LIVE: Karimpur remains agitated throughout the day
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 25, 2019 8:57 am
  • Updated:November 26, 2019 9:15 am  

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে  মোটের উপর নির্বিঘ্নে হয়ে গেল উপনির্বাচন। করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর (সদর) – এই তিন কেন্দ্রের বিধায়ক বেছে নিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন আমজনতা। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলল ভোটগ্রহণ পর্ব। উপনির্বাচন ঘিরে তিন কেন্দ্রেই ছিল  কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। করিমপুরে দফায় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। দিনের শেষ  দফা পর্যন্ত তিন কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৬০ শতাংশের বেশি। লড়াই মূলত তৃণমূল-বিজেপির হলেও, সিপিএম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী  তাতে বেশ বেগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।ফল প্রকাশ ২৮ তারিখ।

বিকেল ৫.১৭: নদিয়ার ডিএম এবং এসপি’র রিপোর্টে পাঠানো হল দিল্লিতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।

Advertisement

বিকেল ৪.৫৫:  জয়প্রকাশ নিগ্রহকাণ্ডে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিলেন নদিয়ার পুলিশ সুপার। সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ, বিজেপি প্রার্থীকে ভোটের দিন নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রার্থী তা নিতে অস্বীকার করেন। 

বিকেল ৪.৫০: সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায়। করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের হেনস্তার ঘটনা বর্ণনা করে নদিয়ার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে বরখাস্তের দাবি তুললেন মুকুল রায়।

বিকেল ৪.৩০: তিন কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত ভোটদানের হার ৬০ শতাংশেরও বেশি। অশান্তি সত্ত্বেও সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ল করিমপুরে। সেখানে ভোটের হার ৭০.৬৩ শতাংশ। কালিয়াগঞ্জে ৬৫.৩ শতাংশ এবং খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রে ৫৭.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। 

দুপুর ৩.২৮: করিমপুরের বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনাকে গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জা বলে মনে করছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি অসভ্য পার্টি। তবে এভাবে তাদের প্রার্থীকে মারা জঙ্গলের রাজত্ব। গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার।’

দুপুর ৩.২৫:  জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হেনস্তার ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা। তা প্রকাশ করেও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বললেন,  ‘এ-টিম আর বি-টিম নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। জয়প্রকাশের উপর হামলার নিন্দা করতাম যখন তারা আমাদের উপর তৃণমূলের আক্রমণের নিন্দা করত। অথচ তা বিজেপি করে না। ঘুরিয়ে প্রশংসা করে। তবে এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। দুই দল মারামারি করছে। কমিশনও নীরব দর্শক।’

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ভোট দিতে সাহায্য, কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ নোটিস পাঠাল কমিশন]

দুপুর ২.২৭:  স্ত্রীকে ইভিএমে চিহ্ন দেখিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। 

দুপুর ২.২০ : কালিয়াগঞ্জের বালাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের নতুন করে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব নিলেন রিপন কবিরাজ। বিজেপি প্রার্থী নিজের স্ত্রীকে ইভিএমে চিহ্ন দেখিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অপসারিত হন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শিশিররঞ্জন শিকারি।

দুপুর ১. ৪০: ঘিয়াঘাটে জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তারিকুল শেখ-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের।

দুপুর ১:  দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জে ভোট পড়ল ৪০ শতাংশ।

দুপুর ১২.৪০: দোগাছিতে বুথ পরিদর্শনে গিয়ে ফের নিগ্রহের মুখে পড়তে গিয়েও রক্ষা পেলেন করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে তাঁরা পালিয়ে যায়। জয়প্রকাশের অভিযোগ, বুথের সামনে অশান্তি বাঁধানোর জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমায়েত করেছিল তৃণমূল কর্মীরা।

দুপুর ১২.১৫: জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিগ্রহের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাল জেলা তৃণমূল। নদিয়ায় দলীয় পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার চূড়ান্ত নিন্দা করে বলেন, তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়।

দুপুর ১২: করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে হেনস্তার ঘটনায় ফুটেজ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রিপোর্ট তলব করল কমিশন।

সকাল ১১.৪৫: গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করলেন করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী। শাসকদল ছাড়া অন্য কাউকে বুথে বরদাস্ত করতে চায় না তৃণমূল, অভিযোগ জয়প্রকাশের। বুথ দখল করে অবাধে ছাপ্পা ভোট চলছে বলেও অভিযোগ।

সকাল ১১.৩৯: চূড়ান্ত হেনস্তার মুখে করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। ঘিয়াঘাট প্রাইমারি স্কুলে বুথ পরিদর্শনে গিয়ে মার খেলেন তিনি। জঙ্গলের মধ্যে তাঁকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এমন ঘটনা বলে অভিযোগ। 

সকাল ১১.১৮: খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রের ২০৭ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা-কে ঢুকতে বাধা। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে নালিশ প্রার্থীর।

[আরও পড়ুন: সবজি কেনা নিয়ে বচসা, তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন সারেঙ্গায়]

সকাল ১১: ভোট পরিস্থিতি দেখতে বুথে বুথে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা করিমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মহুয়া বললেন, ‘ভোট একেবারে মসৃণভাবে চলছে। যেভাবে ২০১৬ এবং ২০১৯ এ ভোট হয়েছে, সেই ফর্মুলাতেই এবারও ভোট হচ্ছে।’ 

সকাল ১০.৪৬: কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রের রায়গঞ্জের বড়ুয়ার ২৬৬ নং বুথ দখল করার চেষ্টা,  অভিযুক্ত তৃণমূল।

সকাল ১০.৩৬: কালিয়াগঞ্জের বুথে বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ঘটনায় কমিশনের নির্দেশে অপসারিত প্রিসাইডিং অফিসার।

kaliagunj-BJP-candi-breaks-rule

সকাল ১০.১০: সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন কেন্দ্রেই ভোটদানের হার গড়ে ১৪ শতাংশ। করিমপুরে ১৪.৭১ শতাংশ, কালিয়াগঞ্জে ১৪.১৩ শতাংশ, খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রে ভোট পড়ল ১২.৬১ শতাংশ। 

সকাল ৯.৫০:  সাহেবপাড়ায় জয়প্রকাশকে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের হঠাতে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

সকাল ৯.৪০: করিমপুরের সাহেবপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ঘিরে বিক্ষোভ। ভোটাররা তাঁকে পাড়ায় ঢুকতে বাধা দিলে গন্ডগোল। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।

সকাল ৯.২৯: কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। স্ত্রীকে দেখিয়ে দিলেন, মেশিনে কোথায় ভোট দিতে হবে। এনিয়ে অভিযোগ জমা পড়ায় রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন।

সকাল ৯. ২০: করিমপুরে অশান্তির ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের।

সকাল ৯.১৫: ভোট দিলেন  কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী ধীতশ্রী রায়।

dhitasree-vote

সকাল ৯.০৫: খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘তৃণমূল অশান্তি করলে, পালটা জবাব পাবে।’

সকাল ৯.০২: ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত করিমপুর বিধানসভা এলাকা। ২১,২২,২৩ নং বুথে নতুন করে অশান্তি।

সকাল ৮.৫০: করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বচসা। তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হল।

সকাল ৮.৩৬: বালাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ভোট দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার।

সকাল ৮.৩৩: করিমপুরে পিপুলখোলা প্রাইমারি স্কুলের বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ।
সকাল ৮.৩০: খড়গপুরের ১২০ নং বুথে ইভিএম খারাপ।

[আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সিপিএমকে সাহায্য করবে তৃণমূল, বিজেপিকে রুখতে ঘোষণা অনুব্রতর]

সকাল ৮. ১২: নতিডাঙা ১-এর পণ্ডিতপুর ৩৯ নং বুথে দু’জন বিজেপি এজেন্টকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অপহৃতদের নাম গণেশ মণ্ডল, বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। পরে গণেশ মণ্ডলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁকেও বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

abducted-agent
অপহৃত বিজেপি এজেন্ট গণেশ মণ্ডল

সকাল ৮: করিমপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৩৯নং বুথে অশান্তি। বিজেপি পোলিং এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

সকাল ৭.৪০: খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রের ১৪০ নং বুথে আয়না রেখে কারচুপির অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে নালিশ। পরে তা চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়।
সকাল ৭.২৭: খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রের তালবাগিচা বানজারা বস্তিতে টাকা বিলির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: সংসদে তৃণমূল বিরোধিতার পুরষ্কার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটিতে লকেট]

সকাল ৭.১৫: করিমপুরের থানারপাড়া এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। এই কেন্দ্রের মোট ৩ টি বুথে উত্তেজনা।
সকাল ৭: শুরু ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর (সদর) কেন্দ্রে।

kaliagunj-vote

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement