চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দীর্ঘ দু মাস ধরে চলা লকডাউনের জেরে মন্দার ছায়া দুধের ব্যবসায়। বাজারে দুধের চাহিদা না থাকায় মাথায় হাত খাটাল ব্যবসায়ীদের। সরকারি সাহায্য না মেলায় ক্রমেই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। তাই এদিন রাস্তায় কয়েকশো লিটার দুধ ফেলে বিক্ষোভে (Protest) শামিল হন বারাবনির খাটাল মালিকেরা।
লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে রেস্তঁরা। মিষ্টি দোকানগুলির বিক্রির সময় বেঁধে দেওয়াতেও দুধের চাহিদা কমেছে বিপণিগুলিতে। সংক্রমণের ভয়ে এখনও রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে বন্ধ রয়েছে মিষ্টির দোকান। ফলে দুধের চাহিদার সঙ্গে দোকানগুলিতে কমেছে দুগ্ধজাত দ্রব্যের বিক্রি। দুধ, পনিরের চাহিদা ক্রমেই কমতে থাকায় শিকেয় উঠেছে খাটাল মালিকদের ব্যবসা। তবে চাহিদা কমলেও খাটালে থাকা অবলা পশুদের পালনে খরচ কম হচ্ছে কই? সেই খরচের বহর সামলাতে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে মালিকদের। একদিকে মিষ্টি দোকানে চাহিদার ঘাটতি, অন্যদিকে গোরু-মোষ পালনের খরচ যোগাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা বারাবনির গোয়ালাদের। কারণ, লকডাউনের জেরে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে খড় ও গোখাদ্যের দামেরও। ফলে একরপ্রকার অসহায় অবস্থা খাটাল মালিকদের। সর্বস্বান্ত হওয়া এই পরিস্থিতিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিক্ষোভের পথ বেছে নিলেন তাঁরা। কয়েকশো লিটার দুধ রাস্তায় ফেলে শনিবার বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন বারাবনির গোয়ালারা।
বিক্ষোভ দেখানোর সময় এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাহায্য না মেলায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগও করেন বারাবনির খাটাল মালিকেরা। তাঁদের কথায়, “রাজ্য সরকার লকডাউনে সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও খাটাল মালিকদের কথা ভাবেননি। রোজ শয়ে শয়ে লিটার দুধ শুধুমাত্র বিক্রির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে আমাদের দুর্দশার কথা বিবেচনা করতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.