কল্য়াণ চন্দ্র, বহরমপুর: খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত জঙ্গি তারিকুল ইসলামকে বহরমপুর সংশোধনাগারে জেরা করছে এসটিএফ। এবার তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় অসম এসটিএফ। কারণ, জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে ধৃত তারিকুল নাকি আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য মিনারুল এবং আব্বাসকে জেলে বসেই নির্দেশ দিত। সে কারণে তাকে জেরা করার পরিকল্পনা অসম এসটিএফের।
বর্ষশেষে গোপন সূত্রে অসম পুলিশের এসটিএফের কাছে খবর পৌঁছয়, অশান্ত বাংলাদেশ থেকে নাশকতা চালাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে। এরপরই ‘অপারেশন প্রঘাত’ শুরু হয়। বাংলা, কেরল এবং অসমে অভিযান চালায় অসম পুলিশের এসটিএফ। জালে ধরা পড়ে একের পর এক জঙ্গি। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের নওদা এবং হরিহরপাড়ায় অসম পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফের যৌথ তল্লাশিতে ৪ জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়। জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, জেএমবির একাধিক সদস্য এবিটিতে নাম লিখিয়েছে। তারাই বাংলায় নাশকতার ছক কষেছে।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলাম নাকি জেলে বসেই এবিটির সংগঠনকে বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। গত বছর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে ধৃত জঙ্গি মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। জঙ্গি তারিকুলের নির্দেশে তারা কাজ করত বলেই খবর। মিনারুল ও আব্বাস দুজনেই এবিটি-র সদস্য। আব্বাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত। ঠিক কীভাবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির কাজ করত, সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই তারিকুল ইসলামকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় অসম এসটিএফ। সোমবার বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এসে পৌঁছন অসম এসটিএফের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.