তরুণকান্তি দাস: নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তোলপাড়া গোটা দেশ৷ রাতারাতি উদ্বাস্তু ৪০ লক্ষ মানুষ! তাঁদের অনেকেরই আবার ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও রয়েছে বলে অভিযোগ৷ ঝড়ের আভাস অসমজুড়ে। সিঁদুরে মেঘে ডরাচ্ছেন পড়শি রাজ্যের বাঙালিরা। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে মাঠে নেমেছে বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠন৷ খোলা হয়েছে লিগাল সেল। ক্যাম্পগুলিতেও মানুষের ভিড়৷ বাঙালি সংগঠন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, নাগরিকপঞ্জি হাতে এলে, পরিস্থিতি আমূল বদলে যাবে৷ অসমে বাঙালি খেদাও আন্দোলনের স্মৃতি তাড়া করছে সকলেই৷ এদিকে নাগরিকপঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ মানুষকে ব্রাত্য করার প্রতিবাদে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব৷
[ রোহিঙ্গাদের মতোই নিয়তি! কী পরিণতি হবে নাগরিকত্ব হারানো ৪০ লক্ষ ‘অসমবাসী’র?]
অমসে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় সংগঠন নওগাঁও বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন৷ সংগঠনটি প্রায় ১২৫ বছরের পুরনো৷ সোমবার সকালে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হওয়ার পরই বৈঠকে বসেন নওগাঁও বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা৷ বিকেলে খুলে ফেলা হয় লিগাল সেল৷ সংগঠনের সম্পাদক আস্তিক সাহা জানিয়েছেন, ’ যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের আইনি সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত৷ এখানে ৪০ শতাংশ বাঙালির বাস৷ অনেকেরই নাম বাদ পড়েছে বলে শুনেছি৷’ গুয়াহাটিতে থাকেন রাজীব শতপথী৷ পেশায় ব্যবসায়ী তিনি৷ শহরের এক বাঙালি সংঠনের সদস্য রাজীব৷ তিনি বলেন, ‘জানতাম সমস্যা হবে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে তৈরি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পূর্ণ তালিকা পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।‘ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনশুকিয়া, তেজপুরেও বৈঠক করেছে স্থানীয় বাঙালি সংগঠনগুলি৷
এদিকে আবার অসমের পরিস্থিতি আঁচ পৌঁছেছে এ রাজ্যেও৷ নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, অসমে ‘বাঙালি খেদাও’ চলছে৷ বিধানসভার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অসমে যাবে শাসক দলের প্রতিনিধিদল৷ সোমবার সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন তৃণমূল সাংসদরা৷ এ রাজ্যের শাসক দলের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে অসমের বাঙালি সংগঠনগুলি৷
[ কাঁধে করে বাবার শবদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া ‘অপরাধ’, একঘরে চার কন্যা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.