সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘দুপুরের আহার তো ভাল আসিল খাবলয়ে৷’ বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি খাবার খেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া অসম পুলিশের। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে পুরুলিয়ায় ভোটের ডিউটি করতে এসেছেন অসম পুলিশের আধিকারিকরা। বুথের বাইরে তাঁদের জন্য বিশেষ রান্নার আয়োজন করা হয়। আর তা খেয়েই খুশি অসম পুলিশ।
আগের দফাগুলিতে বর্ধমান, বাগনানে ভোটের ডিউটিতে ছিলেন অসম পুলিশের আধিকারিকরা। ষষ্ঠ দফার ভোটে অসম পুলিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ভোটের ডিউটিতে যায় পুরুলিয়ায়। তাঁদের মধ্যে কাশীপুর বিধানসভার ভুইঞাডি গ্রামের কমিউনিটি হলের বুথে ছিলেন অসম পুলিশের দেবজ্যোতি ফলিতা, নীরেন নার্জারি, জয়ন্ত কুমার ও রতিকান্ত দাস। কিন্তু শুধু ভোট সামলালে চলবে কী করে? খাবারেরও তো প্রয়োজন। তাই বুথের বাইরে তাঁদের জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা হয়। রান্নার দায়িত্বে ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
বুথে ভোটারদের সংখ্যা কিছুটা কমতেই কেন্দ্রের বাইরে বেঞ্চ পেতে এক এক করে খেতে বসেন অসম পুলিশের আধিকারিকেরা। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, পেঁয়াজ, করলা ভাজা, তরকারি, মাছের ঝাল, আমের চাটনি। খেয়ে উঠে তৃপ্তির সুরে তাঁরা বললে ‘বড়া খানা’। খুশি হয়ে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর কর্মীদের হাতে বকশিশও তুলে দিলেন তাঁরা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য পিংকি মুর্মু ও অষ্টমী মুর্মু বলেন, “আমাদের গাঁ-গঞ্জের রান্না তো খুব একটা ভাল নয়। তবুও অসম পুলিশ প্রশংসা করায় আমাদের ভাল লাগছে।” জয়ন্ত কুমার বলেন, “দেশি মাছের ঝালটা এখনও মুখে লেগেই আছে।” তবে ভোটে কর্তব্যরত কয়েকজন জওয়ান নিজেদের রান্না করে নিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর পূরণ মীনা বলেন, “রুটিন অনুযায়ী রবিবার আমাদের মেনুতে খাসির মাংস থাকে। বলতে পারেন এদিন আমাদের ‘বড়া খানা’। ভোটের ডিউটি হোক বা সীমান্ত সামলানো এই মেনু আমরা পালটাই না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.