চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: শুধু রাজনীতির ময়দানে নয়, বাংলার চিরন্তন ধর্মীয় উৎসব রাম নবমী ঘিরেও একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াইতে ব্যস্ত বিজেপি ও তৃণমূল৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে নানা ছবি উঠে এসেছে৷ তবে আসানসোলের এক আখড়ায় যে দৃ্শ্য দেখা গেল, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের ভূমিকা বড়সড় প্রশ্নের মুখে৷
গায়ে খাকি উর্দি, কোমরে সার্ভিস রিভলভার, মাথায় গেরুয়া পাগড়ি এবং হাতে লাঠি। সাউন্ড বক্সে বাজছে ‘জয় শ্রীরাম’ মন্ত্র আর দক্ষ হাতে রাম নবমীর আখড়ায় লাঠি খেলছেন এক পুলিশ অফিসার। এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় আসানসোলে। কারণ, ওই অফিসার কুলটি থানার একজন অফিসার। লাঠিখেলায় ব্যস্ত ওই পুলিশকর্মীর নাম বরুণ মণ্ডল। তিনি কুলটি থানার নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর৷ শনিবার রাম নবমী উপলক্ষে কুলটি থানার বেজডি কোলিয়ারির একটি আখড়ায় কাজের পোশাক পরেই লাঠি খেলতে নেমে পড়েছেন বরুণ মণ্ডল নামে ওই অফিসার৷ তাঁর লাঠিখেলা দেখতে ভিড় হয়ে যায় ওই চত্বরে। তবে কর্তব্যরত অবস্থায় এভাবে উর্দি পরে পুলিশের লাঠিখেলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
যদিও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এই দৃশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে দুর্গাপুরে কালীপুজোর সাংস্কৃতিক মঞ্চে উর্দি পরে পুলিশকে নাচতে দেখা গেছে। আবার কখনও অফিসে তরুণী সিভিক ভলান্টিয়ারদের সামনে চটুল গানে নাচতে দেখা গেছে এক এএসআইকে। এমনকি রাজনৈতিক দলের মঞ্চে উর্দি পরে বক্তব্যও রাখতে দেখা গেছে পুলিশ আধিকারিককে। আর আইন ভেঙে বেশিরভাগ ঘটনাতেই শাস্তির মুখে পড়ছেন অফিসারেরা। যদিও এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিয়ামতপুর ফাঁড়ির এএসআই বরুণ মণ্ডল৷ তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রয়া, ‘জনসংযোগের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে রাম নবমীর অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছি। এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও ছিল না। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাসকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আখড়ায় লাঠি খেলে ভোটের মুখে এএসআই বরুণ মণ্ডল বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা অভিজ্ঞ মহলের একাংশের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.