Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাধ্যমিক

ভুল অ্যাডমিট নিয়েই মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়া, ত্রাতার ভূমিকায় পুলিশ কাকু

পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকায় খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা।

ASI of Barabani ps helps a madhyamik candidate on tuesday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 18, 2020 9:11 pm
  • Updated:February 18, 2020 9:11 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ভুল অ্যাডমিটি কার্ড নিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা দেওয়াই বন্ধ হতে বসেছিল ছাত্রীর। ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এলেন পুলিশ কর্মী। সাত কিলোমিটার দূর থেকে সঠিক অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন বারাবনি থানার এএসআই। অতঃপর নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা দিল আলপনা বাউরি।

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েক মিনিট। গৌরাণ্ডি হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রেও পৌঁছে গিয়েছে বারাবনির বালিয়াপুর স্কুলের পড়ুয়া আলপনা বাউরি। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার পর তার অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান পরীক্ষক। কারণ ছাত্রীর নাম, বাবার নাম, স্কুল এমনকী মিলে যাচ্ছিল রেজিস্ট্রেশন নম্বরও। কিন্তু আলাদা রোল নম্বর! বিভ্রান্তি দূর হয় তখনই যখন জানা যায় যে, দ্বিতীয়বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আলপনা অ্যাডমিট এনেছে গতবারের। এবারের অ্যাডমিটটি সে স্কুল থেকেই তোলেনি।

Advertisement

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক ফোনে যোগাযোগ করেন ছাত্রী যে স্কুলের পড়ুয়া সেখানকার প্রধান শিক্ষককে। তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বালিয়াপুর রুটে মোবাইল ডিউটিতে ছিলেন বারাবনি থানার এএসআই ইমদাদুল হক। খবরটি জানতে পেরেই তিনি এগিয়ে আসেন। পুলিশের জিপ নিয়ে বালিয়াপুর হাইস্কুল থেকে অ্যাডমিটটি তুলে গৌরাণ্ডি স্কুলে পৌঁছে দেন। বালিয়াপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পল্লবনারায়ণ রায় বলেন, “সেন্টার থেকে ফোন পেয়েই পুলিশের সাহায্য নিই। ডিউটিতে থাকা অফিসার বিলম্ব না করে নতুন অ্যাডমিটটি তুলে ওখানে পৌঁছে দেন।” গৌরাণ্ডি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে অ্যাডমিট নিয়ে বিভ্রান্তি হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝা যায় সমস্যা। সময় মতো সঠিক অ্যাডমিট চলে আসায় কোনও সমস্যা হয়নি।” আলপনা বাউরির কথায়, “ভুল অ্যাডমিট এনেছি প্রথমে বুঝতে পারিনি। নতুন অ্যাডমিটও স্কুল থেকে তুলতে হবে জানতাম না। তবে পুলিশ কাকু ও স্কুলের স্যাররা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘পয়সা ছিল না, পেপারে মুখ ঢেকে লোকাল ট্রেনেই যাতায়াত করতেন’, তাপসের স্মৃতিচারণায় বন্ধুরা ]

ডিসি পশ্চিম অনমিত্র দাস বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ সচেষ্ট রয়েছেন। শুধু অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নয়, সমাজবন্ধু হিসেবেও এখন পুলিশ ভাল কাজ করছেন। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢোকার আগে একটি পেন ও গোলাপ ফুল দিয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে একটি করে পুলিশ সহযোগিতা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement