অর্ণব দাস, বারাসত: সন্তান-সহ স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঝুলন্ত অবস্থায় তিনজনের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল অশোকনগরের নবপল্লি এলাকায়। প্রাথমিক অনুমান, মেয়েকে নিয়েই আত্মঘাতী হয়েছে ওই দম্পতি। কিন্তু কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে পুরোপুরি ধন্দে প্রতিবেশীরা। সকলেরই এক বক্তব্য, পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। তাহলে আত্মহত্যার নেপথ্যে কি অন্য কোনও কারণ? তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। অনেকে আবার এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের তুলনা করছেন। যেখানে এক পরিবারের ছজন একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছিলেন।
অশোকনগরের (Ashoknagar) নবপল্লি এলাকায় প্রায় ৬ বছর ধরে বাস দীপক রায়ের পরিবারের। বছর তেতাল্লিশের দীপকবাবু একটি প্লাইউড কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী প্রিয়া ও ১০ বছরের মেয়ে মিষ্টিকে নিয়ে সংসার। মোটের উপর ভালোই কাটছিল দিন। পরিবারে কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু শুক্রবার সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তিনজনের ঝুলন্ত দেহ (Hanging body)। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তিনজনকে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সকলেই হতবাক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দীপক রায়, প্রিয়া রায় ও মিষ্টি রায়। দীপক ও প্রিয়ার মেয়ে মিষ্টি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মেয়েকে মেরে দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন।
প্রতিবেশী ভবতোষ পাণ্ডে, বলাই দে-রা বলছেন, এই পরিবার খুব মিশুকে। কোনও অশান্তি ছিল না। তবে তাঁদের ঋণ (Loan) ছিল। যদিও তা মাসে মাসে শোধ করে দিতেন দীপক। এমনই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু আজকের ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত বলে জানাচ্ছেন সকলে। একজন জানালেন, সকালে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে তাঁরা ডাকতে গিয়েছিলেন। দেখেন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে ঢোকার পর তিনজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আঁতকে ওঠেন সকলে। খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। গোটা পরিবার এভাবে শেষ হয়ে যাওয়ায় মর্মাহত প্রতিবেশীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.