শেখর চন্দ, আসানসোল: মহালয়ায় মা দুর্গা এলেন আবার মহালয়াতেই ফিরে গেলেন। অভিনব একদিনের দুর্গাপুজোর সাক্ষী আসানসোলের বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামে। হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে আগমনী দুর্গাপুজো হয় দেবীপক্ষে। দামোদর নদীর তীরে ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। মঙ্গলবার রাতে ছিল আমাবস্যা। সেই রাতে কালীপুজো হল এই আশ্রমে। তারপরেই মহালয়ার সকালে শুরু হয়ে যায় আগমনি দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী আগমনি দুর্গা পুজোয়। এদিন পুজোর শেষে নবমীর ভোগ খেতে আসেন ধেনুয়া গ্রামের মানুষজন। পুজো (Durga Puja 2021) দেখতে ভিড় জমান এলাকার প্রায় সকলেই। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য তুলনায় এবার কম লোকজন আসেন মন্দির চত্বরে।
পুরোহিত আশিস ঠাকুর জানান, বিভিন্ন আখ্যান অনুযায়ী পুজোর লোকাচারগুলি হয়। চার রকমের ভোগ করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মাতৃপ্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। কেন এরকম পুজো ? মন্দির কমিটির সম্পাদক সুবল চন্দ্র খাঁ বলেন, “এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী। স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন ৯১ বছর আগে। বছর চারেক আগে সেবাইত জ্যোতিন মহারাজের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা সেই পুজোর পরম্পরা চালিয়ে আসছেন এখনও।”
জানা গিয়েছে, ১৯৩০ সাল থেকে পুজো হয়ে আসছে। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনি দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা একদিনের এই পুজোতে মেতে ওঠেন। তবে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ আসতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় বিষন্ন সকলের।
বিধায়ক হওয়ার পর প্রথমবার একদিনের দুর্গাপুজোয় অংশ নেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “এই প্রথমবার এরকম মন্দিরে এলাম। এরকম একদিনের পুজো কোথাও দেখিনি।” দামোদরের তীরে সবুজে ঘেরা এই জায়গাটিকে যেন টুরিস্ট স্পট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় সে চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি বিধায়কের।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.