চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রেস্তরাঁর আড়ালে শহরের বুকে অবৈধ হুক্কাবার চালানোর অভিযোগ। এ যেন ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’। রেস্তরাঁতে দুই যুবকের বচসা মেটাতে এসে পুলিশ দেখল রমরমিয়ে চলছে যুবকের মধ্যে বচসার জেরেই প্রকাশ্যে এল সেই ঘটনা। এই দেখে পুলিশের চোখ কপালে উঠেছে। পুলিশি অভিযানের পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করতে থাকেন। এর জেরে অবৈধ হুক্কাবারে তালা ঝুলিয়ে দিল পুলিশ। সেই সঙ্গে রেস্তরাঁটিতে হুক্কাবার চালানোর বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের শ্রীপল্লিতে।
আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানিয়েছে, রেস্তরাঁটির নাম আরবান ভিলেজ। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে রেস্তরাঁর নামে অবৈধ হুক্কাবার চলছে। একই সঙ্গে নানাবিধ অবৈধ কাজকর্মও হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, শুধু হুক্কাবার নয় নেশার নামে অনেক গর্হিত কাজকর্মই চলত রেস্তরাঁটিতে। পুলিশ রেস্তরাঁ মালিকের সন্ধান শুরু করেছে। তালা ঝোলালেও রেস্তরাঁর কোনও কর্মীকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে রাজ্যের বড় শহরগুলিতে হুক্কাবারের রমরমা হয়েছে। এবার আসানসোলেও সেই ধুঁয়াধার নেশার সন্ধান পাওয়া গেল। শহরে হুক্কাবার নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জানিয়েছেন, ক্যানসারের মতো মারণব্যাধির বীজ রয়েছে হু্ক্কাতে। সিগারেটের থেকেও ভয়াবহ হুক্কার ধোঁয়া। বিভিন্ন পানশালায় হুক্কার আসর বসিয়ে তরুণ তরুণীদের যেভাবে আকর্ষিত করা হচ্ছে তাতে সমাজের বিপদ বাড়ছে। হুক্কাবারের হাত ধরেই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। রেস্তরাঁ, পাব, পানশালাগুলিতে সরকারি আইন মেনে নিষিদ্ধ হোক হুক্কাবার। বাসিন্দাদের এই দাবি পূরণে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ বাসিন্দাদের। ২০১৭-র মে মাসে এক নির্দেশিকায় হুক্কা বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। তারপরেও শহরের আনাচে কানাচে কীভাবে চলছে হুক্কাবার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.