চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: আমন্ত্রণ সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে এলেন না শহরের বিশিষ্টজন থেকে ব্যবসায়ীরা। ফাঁকা মঞ্চে একাই বসে রইলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিলই করে দিতে হল। ‘মুখোমুখি বসা যাক’, এই নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বাবুল। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোল ক্লাবে। উদ্দেশ্য ছিল, শহরের উন্নয়ন নিয়ে সরাসরি কথা বলবেন মন্ত্রী। বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবেন। এর সঙ্গে গত চার বছরে আসানসোলের জন্য তিনি কী করতে পেরেছেন, তার ফিরিস্তি দেবেন সাংসদ। আসানসোলের ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা সুব্রত তথা মিঠু ঘাঁটির উপর দায়িত্ব বর্তেছিল অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার। সেইমতো তিনি শহরের ব্যবসায়ী, বিদ্বজ্জন, চিকিৎসক, উকিল-সহ সমস্ত স্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আশা করা হয়েছিল একশোর উপর মানুষ আসবেন অনুষ্ঠানে। কিন্তু আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় অনুষ্ঠানে এসে দেখেন, মাত্র চার থেকে পাঁচজন ব্যবসায়ী এসেছেন। স্বভাবতই আশাহত হয়েছেন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
[ মাঝেরহাটের পর বিপর্যয় কাকদ্বীপে, ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু]
কিন্তু, খোদ সাংসদ আমন্ত্রণে কেন সাড়া দিলেন না আসানসোলে বিশিষ্টজন ও ব্যবসায়ীরা? বাবুল সুপ্রিয়ের অভিযোগ, “তৃণমূল নেতাদের ভয়ে ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তাঁদের অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। চার বছর আগে লোকসভা ভোটে জিতে আসার পর এই ক্লাবেই ব্যবসায়ীরা আমাকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন। তখনই আমি বলেছিলাম, আসানসোলের উন্নয়নের জন্য সাত বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তিনি কাজ করতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন বিধায়কও আমার সঙ্গে বৈঠক করেননি।” শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে ফিরে যান আসানসোল সাংসদ। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “ওঁর ভাওতাবাজি সবাই বুঝে গিয়েছেন। গত চার বছরে আসানসোলের জন্য উনি কিছুই করেননি। চার বছর আগে আসানসোলের মানুষ যে ভুল করেছিলেন, তা শুধরে নিয়েছেন। ভোটারদের আস্থা হারিয়েছেন উনি।”
[ একশো দিনের কাজের টাকা ঢুকছে মোবাইল সংস্থার অ্যাকাউন্টে!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.