Advertisement
Advertisement

কুলটিতে বাড়ির বারান্দায় ধস, আতঙ্কে সপরিবারে ঘরছাড়া গৃহকর্তা

মাটির নিচে আগুন জ্বলছে!

Asansol: Landslide in a home sparks panic in Kulti
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 25, 2018 5:56 pm
  • Updated:September 25, 2018 5:56 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ফের ধস নামল কুলটির সাঁকতোড়িয়ায়। বাড়ির বারান্দায় কুয়োর মতো গর্ত হয়ে গিয়েছে। গর্ত থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মাকড়সার জালের মতো ফাটল ধরেছে বাড়িতে। আতঙ্কে ঘরছাড়া ইসরাফুল কুরেশি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটির নিচে আগুন জ্বলছে। আগুনের আঁচ ও ধোঁয়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত তাঁদের। কিন্তু, ইসিএল বা প্রশাসনিক আধিকারিকদের দেখা নেই।

[ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর ফুটবলারের মৃত্যু, শোকের ছায়া হুগলির কুন্তিঘাটে]

Advertisement

দিন দশেক আগে ধসের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল কুলটির সাঁকতোড়িয়ার দুষাদে। ফাটল ধরেছিল বেশ কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসন পাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযো, গত কয়েক বছর ধসের আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও পুনর্বাসন পাননি। বছর ছয়েক আগে সাঁকতোড়িয়া বাসিন্দা ইসরাফুল কুরেশি বাড়িতে ধস নেমেছিল। ধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিলেন এক যুবতী। মঙ্গলবার ফের তাঁর বাড়িতেই ধস নামায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন ইসরাফুল কুরেশি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ১৯৯৩ সালে প্রথম ধসে নামে কুলটি সাঁকতোড়িয়ায়। সেই থেকেই বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মাঝেমধ্যে খনিগর্ভে বালি ফেলে ভরাট করে দেয় ইসিএল। কিন্ত, তাতে বিশেষ লাভ হয় না।

ইসিএলেরকারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘২০০৩ সালে সাঁকতোড়িয়াকে ধসপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের(এডিডিএ)। ১৫৪ কোটি টাকাও দিয়েছে ইসিএল।’ এদিকে অবিলম্বের সাঁকতোড়িয়া থেকে বাসিন্দা না সরালে, বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[পুজোয় ওভারগেট নির্মাণে বিধিনিষেধ ঘিরে বহরমপুরে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement