শেখর চন্দ্র, আসানসোল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যু, র্যাগিং বিতর্কের মাঝে সম্পূর্ণ অন্য ছবি আসানসোলে। নবাগত, জুনিয়রদের ভরসা জোগাতে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিনিয়ররা অভিনব উদ্যোগ নিলেন। বলা ভাল, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে সিনিয়ররাই এগিয়ে এসেছেন। শুক্রবার কলেজের নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানাতে ‘ওয়েলকাম কার্ড’ দেওয়া হয়েছে। আর সেই কার্ডই র্যাগিং (Ragging) রোখার সমাধান সূত্র।
সদ্য স্কুল ছেড়ে কলেজে ভরতি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (Asansol Engineering College) তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা। শুক্রবার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের বরণ করে কলেজের সিনিয়ররা পড়ুয়ারা। তাঁদের একটি করে ‘ওয়েলকাম কার্ড’ দেওয়া হয়। সেই কার্ডে রয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ফোন নম্বর ও হোয়াটস্যাপ গ্রুপের (WhatsApp Group) কিউআর কোড (QR Code)। ওই গ্রুপে সবরকম সাহায্য পাবেন নতুন পড়ুয়ারা ও অভিভাবকরা। কিউআর কোড স্ক্যান করে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিলেই সবরকম অভিযোগ জানানো যাবে। মিলবে সমাধানও।
এ বিষয়ে সিনিয়র ছাত্র ঋষভ বিশ্বাস, অনিন্দিতা সিংরা বলছেন, ”আমরা কোনওদিন র্যাগিংকে সমর্থন করি না। এখানে এসব হয় না। তবে যাদবপুরের ঘটনাটার পর থেকে নতুন ভরতি পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা একটু আতঙ্কিত। আমরা তাই জুনিয়রদের সবরকমভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে আমরা ওদের পাশে আছি, সঙ্গে আছি। কেউ যাতে অকারণে ভয় না পায়, তাও বলছি। আমরা এখানে হস্টেলে সবাই মিলেমিশে থাকি। জুনিয়রদেরও তা বলেছি। ওরাও যাতে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। আর কোনও অসুবিধা হলে ওই ওয়েলকাম কার্ডে কিউআর কোড স্ক্যান করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিয়ে সেখানে জানাতে পারে। এছাড়া অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ফোন নম্বরও দেওয়া আছে। সেখানেও সবসময় ফোন করা যাবে।”
সিনিয়র দাদা-দিদিদের এই উদ্যোগে স্বস্তিতে নবাগতরা। জুনিয়র ছাত্র অনির্বাণ রায়ের কথায়, ”দাদারা খুব সমর্থন করেছে আমাদের। যাদবপুরের ঘটনার পর হস্টেলে এসে খুব চিন্তা হচ্ছিল, আমাদের সঙ্গেও যদি এরকম হয়। কিন্তু দাদারা খুব ভাল। আমাদের বুঝিয়েছে, ভরসা দিয়েছে। ওয়েলকাম কার্ড দিয়েছে। তাতে কিউআর কোড দেওয়া, স্ক্যান করে নিজেদের অভিযোগের কথা জানানো যাবে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.